বৃহস্পতিবার, ৩১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** এই সরকারের এক্সিট পলিসি চিন্তা করার সময় এসেছে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য *** জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সব পদক্ষেপ নেবে নয়াদিল্লি *** ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা চান দেশটির ৩১ বিশিষ্ট নাগরিক *** এক সাপুড়ের প্রাণ নেওয়া সাপকে চিবিয়ে খেলেন আরেক সাপুড়ে *** তিন বাহিনীর প্রধান নিয়োগ রাষ্ট্রপতির হাতে রাখার প্রস্তাব *** ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল দিচ্ছেন উমামা, যোগদানের আহ্বান ফেসবুকে *** ১৫ই আগস্টের মধ্যে চাকসুর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা *** ‘প্রিয় বন্ধু’ ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের *** আইন ও বিচার বিভাগে পদায়ন বিধিমালা জারি *** এনসিপির অনুরোধে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন ছাত্রদলের

সপ্তাহে একবার কাঁদলে যা ঘটবে আপনার শরীরে

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, ২১শে জানুয়ারী ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

মানুষকে দুই সময়ে কাঁদতে দেখা হয়। কখনও আনন্দের অতিশায্যে মানুষ কেঁদে ফেলে। আবার কখনো খারাপ সময়ে কান্নাই হয়ে যায় মানুষের নিত্য সঙ্গী। সে সময় অবশ্য কেউ কাঁদলে অন্যদের সান্ত্বনা দিতে দেখা যায়। কিন্তু সান্ত্বনা না দিয়ে, বরং তাকে কাঁদতে দেওয়াই ভালো-এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বিষয়টা একটু আশ্চর্য লাগলেও এটাই সত্যি।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটু কান্নাকাটি বরং শরীরের পক্ষে ভালো। তাই কান্না পেলে তা আটকানোর প্রয়োজন নেই, বরং কেঁদে নেওয়াই ভালো।

কান্না কেন ভালো?

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সপ্তাহে অন্তত একবার কাঁদা শরীরের পক্ষে ভালো। জাপানের একটি সংস্থার এক সমীক্ষা থেকে এই ফল জানা গেছে। ওই সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, কাঁদলে মানুষের স্ট্রেস কমে যায়। এতে মানুষের শরীর ও মন চাঙ্গা থাকে।

এর পিছনে বিজ্ঞানটা কী?

এ ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা বলছেন, কাঁদলে চোখ শুকিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। জীবাণুর হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। চোখের জলে লিসোজাইম নামের এক উপাদান থাকে যা অধিকাংশ জীবাণুকে মেরে দেয়। ফলে ধুলো ও ধোঁয়া থেকে চোখে যে নোংরা জমে, চোখের জল তা পরিষ্কার করে দেয়।

মনোবৈজ্ঞানিকেরা জানাচ্ছেন, কাঁদার পরে মানুষ মানসিকভাবে অনেক হালকা হয়ে যান। তাই সুস্থ থাকতে সপ্তাহে অন্তত একবার কাঁদুন।

আরো পড়ুন : বয়স বাড়লে কেন ত্বক কুঁচকে যায়?

কান্নার আরও উপকারিতা

ঘুম ভালো হয়

২০১৫ সালে প্রকাশিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁদার সময় আমাদের শরীরের ভেতরে এমন কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার প্রভাবে তাড়াতাড়ি ও প্রশান্তির ঘুম আসে।

মন ভালো রাখে

মনের মধ্যে চেপে রাখা কষ্ট যদি কান্নার মাধ্যমে বেরিয়ে আসে, তাহলে মন হালকা হয়। তাই মনোবিদরা বলেন, মন খারাপ হলে, কান্না পেলে নিজেকে না আটকাতে। বরং সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা সহজেই চোখের জল ফেলতে পারেন, তারা অবসাদের সঙ্গে খুব ভালো মোকাবিলা করতে পারেন।

আবেগজনিত চিকিৎসা

কান্না বাস্তবে একটা চিকিৎসার মতো। এটা উদ্বেগ কাটায়, বিষণ্নতা দূর করে। আবেগে কেঁদে ফেলতে পারাটা বহু কারণেই মন ও দেহের জন্য উপকারী। দীর্ঘদিন ধরে আবেগ চেপে রাখা ক্ষতিকর। এতে মনের ভেতর জমে ওঠে নানামুখী চাপ। এটি মস্তিষ্কেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। আর এ পরিস্থিতি সামলাতে প্রয়োজন কান্নার।

এস/এসি 


কান্না মনোবৈজ্ঞানি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন