ছবি : সংগৃহীত
ধানমণ্ডি লেকের গাছে ঝুলে আছে ছোট ছোট বাক্স, দেখতে ঠিক যেন পোষা পাখির ঘরের মতোই। আবার রাস্তার পাশেও ছোট্ট ডাকবাক্স। এসব বাক্সে রাখা আছে নানা লেখকের বই- যা আকৃষ্ট করেছে দর্শনার্থীদেরও। মূলত মানুষকে বইমুখী করতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে লেকের পাড়ে। আবার লেকের পাশে উন্মুক্ত পাঠাগার দেখে ভীষণ আনন্দিত বইপ্রেমীরা। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন লেকে আগতরা।
রাজধানীর অনেক বাসিন্দা বই পড়তে আসেন এখানে। যারা অবসর সময়টাতে পার্কে একটু বিশ্রাম নেন, তারাও এক ফাঁকে পাচ্ছেন বইয়ের সান্নিধ্য। কেউ কেউ পৃষ্ঠা উল্টিয়ে পড়ছেন আবার কেউ পড়ে শোনাচ্ছেন পাশেরজনকে।
যার হাত ধরে এই উদ্যোগ তিনি ধানমণ্ডির বাসিন্দা জাকিয়া রায়হানা রুপা। উন্মুক্ত পাঠাগারের ভাবনা থেকে লেকপাড়ে প্রথমে একটি বাক্স স্থাপন করেন। পরে ফেসবুকে শেয়ার করলে অন্যরাও এগিয়ে আসতে শুরু করেন।
লেকের পাশে বইয়ের বাক্স স্থাপনের ধারণাটা কীভাবে এলো? কার থেকে হলেন অনুপ্রাণিত- তাও জানালেন এই উদ্যোক্তা।
আরো পড়ুন : আজ সন্ধ্যা থেকে ৫ দিন অনলাইনে বন্ধ থাকবে ভূমি সেবা
জাকিয়া রায়হানা রুপা গণমাধ্যমকে জানালেন, মানো অন দ্য ওয়ে নামে একটি ফেসবুক পেজ, সেই পেজের মানো একজন জার্মান বাসিন্দা। তার একটি পোস্ট দেখে আমি অনুপ্রাণীত হয়েছি।
তিনি আরও জানান, ‘সেই পোস্টে লেখা ছিল জার্মানির জঙ্গলে, লেকে, নদীর পাড়সহ অনেক জায়গায় বুক কেস থাকে। যার থেকে পড়ার আগ্রহ তৈরি হয়। ওপেন বুক কেসগুলোতে কোনও তালা কিংবা নিরাপত্তাকর্মীরা পাহারা দেন না। মানুষ যখন খুশি এসে বই পড়তে পারে। বই ডোনেটও করতে পারে। আমি পোস্ট করি তার সেই লেখাটি।’
কিছুদিন পর আমি ভাবলাম জার্মানিও পৃথিবীর অংশ, বাংলাদেশও। তাহলে আমাদের দেশে এটি কেন সম্ভব নয়? সেই ধারণা এবং ইচ্ছা থেকে আমি ফেসবুকে বিষয়টি জানাই। অনেকের সাড়াও পাই। আর্থিক সহযোগিতাও পেয়েছি, বললেন রুপা।
একেকটি বই যেন একেকটি বাতিঘর যদি তা হয় সুখপাঠ্য, শিক্ষণীয়। বই আমাদের যেমন জ্ঞানদান করে, তেমনি দিতে পারে প্রকৃত মানুষ হওয়ার শিক্ষা।
মাত্র কয়েকদিনেই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সবখানে ব্যাপক উৎসাহ দেখে যেমন আনন্দিত ও তেমনি আশাবাদী জাকিয়া রায়হানা রুপা।
তাই চাইলেন, এই উদ্যোগ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছড়িয়ে যাক সারা দেশে। ব্যক্তিগত উদ্যোগের সঙ্গী হোক সরকারও।
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন