ছবি: সংগৃহীত
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কে গতকাল (৭ই এপ্রিল) বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শেয়ারবাজারে যে ধ্বস নেমে আসে তার প্রভাব ও ধাক্কা কাটিয়ে আজ (৮ই এপ্রিল) সকালে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। খবর রয়টার্সের।
গতকাল (৭ই এপ্রিল) ১০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পতন হয়েছিল ভারতের শেয়ার সূচক সেনসেক্স ও নিফটির। সেই দুই সূচক আজ মঙ্গলবার (৮ই এপ্রলৈ) বেশ ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে সেনসেক্স বেড়েছে ১ হাজার ২০৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ; নিফটি বেড়েছে ৩৬৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। গতকাল সেনসেক্সের পতন হয়েছিল ৩ দশমিক ২ শতাংশ এবং নিফটির পতন হয়েছিল ৩ শতাংশ।
এদিকে আজ মঙ্গলবার (৮ই এপ্রিল) সকালে এশিয়ার অন্যান্য দেশের শেয়ার সূচকও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে ইউএস স্টক ফিউচার্সের অবস্থানও ঊর্ধ্বমুখী। এক দিন বড় ধরনের দরপতন হলে পরদিন শেয়ারবাজার সাধারণত ঘুরে দাঁড়ায়। সেই সঙ্গে ওয়াশিংটনও শুল্কের বিষয়ে আপস-রফা করতে চায়—এমন ধারণা বাজারে ছড়িয়ে পড়ার কারণে আজ বাজারে কিছুটা ইতিবাচক ধারা দেখা যাচ্ছে বলে রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে।
আজ সকালে এশিয়ার শেয়ার সূচকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে জাপানের নিক্কিই এশিয়া সূচক। ৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে এই সূচক।
অন্যদিকে হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচকের উত্থান হয়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। চীনের মূল ভূখণ্ডের ব্লি চিপস সূচকের উত্থান হয়েছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। দক্ষিণ কোরিয়ার কোসপি সূচক ১ দশমিক ৩ শতাংশ ও অস্ট্রেলিয়ার ইক্যুইটির মানদণ্ড এএক্সজেওর উত্থান হয়েছে ১ শতাংশ।
গতকাল সোমবার (৭ই এপ্রিল) সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে বিশ্বের অন্যান্য দেশের শেয়ার সূচকের মতো প্রায় দুই হাজার পয়েন্ট পড়ে যায় আমেরিকার বাজারের সূচক।
১৯৮৭ সালের ১৯শে অক্টোবর আমেরিকার শেয়ারবাজারের ইতিহাসে ‘কালো সোমবার’ (ব্ল্যাক মানডে) হিসেবে পরিচিত। সেদিন ২২ দশমিক ৬ শতাংশ পড়ে যায় ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ। ৩৮ বছর পর ওয়াল স্ট্রিটে সে রকম দেখা গেল গতকাল (৭ই এপ্রিল)।
আরএইচ/