বুধবার, ২৩শে অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৭ই কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গবেষণা: ওষুধ ছাড়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কতক্ষণ হাঁটবেন

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:২০ পূর্বাহ্ন, ৮ই অক্টোবর ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করতে আপত্তি অনেকের। কিন্তু বাড়তি ওজন, কোলেস্টেরল, রক্তে শর্করা, হৃদ্‌রোগের মতো অসুস্থতা থেকে দূরে থাকতে হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। এছাড়া নিয়ম মেনে রোজ হাঁটলে অনেক অসুখই সারতে পারে ম্যাজিকের মতো। তার মধ্যে একটি টাইপ ২ ডায়াবেটিস। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, প্রতিদিন নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সময় ধরে হাঁটলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

পরিবর্তিত খাদ্যাভাস এবং জীবনধারা বদলে যাওয়ায় জন্যই ডায়াবেটিস বাসা বাঁধছে বেশির ভাগ মানুষের শরীরে। কেবল বয়স্করা নয়, যুবক-যুবতী এমনকি শিশুরাও ভুগছে ডায়াবেটিসে। তাদের খাদ্যাভাস এবং জীবনধারার তথ্য সংগ্রহ করে আইসিএমআর জানিয়েছে, অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত খাবার বা জাংক ফুডে অভ্যস্ত এবং কায়িক পরিশ্রম কম করেন যারা, তারাই আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়াবেটিসে। ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে হাঁটাহাঁটি করাই সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম বলে মনে করছেন গবেষকরা।

আরো পড়ুন : আহত চক্ষুরোগীদের বিশেষজ্ঞ সেবা দিচ্ছেন নেপালের চিকিৎসকরা

কী ভাবে ও কতক্ষণ হাঁটবেন

হাঁটাহাঁটির সবচেয়ে ভালো সময় ভোর বেলা। একটু তাড়াতাড়ি উঠে হাঁটার অভ্যাস করলে বিশুদ্ধ অক্সিজেন পাওয়া যায়, শরীর-মনের ক্লান্তিও কাটে। ডায়াবেটিস রোগীদের ধীরেসুস্থে হেলেদুলে হাঁটলে হবে না। জোর কদমে প্রতি দিন ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা হাঁটতে হবে। একটানা হাঁটুন। হাঁপিয়ে গেলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন, আবার হাঁটুন।

গবেষণা বলছে, গড়ে ঘণ্টায় ৬ কিলোমিটার বেগে ১ ঘণ্টা হাঁটলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৪০% কমে যাবে। যদি ঘণ্টায় ৩ থেকে ৫ কিলোমিটার বেগে হাঁটা যায়, তা হলে ঝুঁকি কমবে প্রায় ২৪%। শুধু হাঁটলেই হবে না। পরিমিত খাবার খেতে হবে। খাবারে শাকসবজির পরিমাণ বাড়াতে হবে। পরিশ্রম করা, নিয়মিত হাঁটা, চিন্তা দূর করা, আনন্দে থাকা, উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার না খাওয়া ইত্যাদি মেনে চললেই জটিলতা কম হবে।

ডায়াবেটিস রোগীদের হাঁটা জরুরি কেন

রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে শরীরে থাকা ফ্যাট ভাঙতে থাকে। আইসিএমআরের গবেষকরা জানান, ফ্যাট ভেঙে ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি হয়, যা রক্তবাহী নালিতে জমা হয়ে রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেয়। ফলে রক্তবাহী নালি সঙ্কুচিত হতে থাকে। মস্তিষ্ক, হার্ট, কিডনি, লিভারে রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে শরীরে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়। রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা দেখা যায়। এ থেকে স্ট্রোক হতে পারে, হৃদ্‌যন্ত্র বিকলও হতে পারে। চোখের রেটিনোপ্যাথি কিংবা অন্ধত্বও হতে পারে। অনেক সময় পায়ের স্নায়ু অবশ হয়ে পায়ে অসাড়তা বা নিউরোপ্যাথি হতে পারে। নিয়মিত হাঁটলে শরীরের পেশি সচল এবং রক্ত সঞ্চালন সঠিক থাকবে। রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতাও কমবে।

এস/ আই.কে.জে

ডায়াবেটিস

খবরটি শেয়ার করুন