ছবি : সংগৃহীত
মধুকে প্রকৃতির মিষ্টি অমৃত বলে অভিহিত করা হয়। মধুর পুষ্টিগুণের শেষ নেই। আমাদের মধ্যে অনেকেই মধু খেতে খুবই ভালোবাসেন। কিন্তু তারাও জানেন না যে, দিনের ঠিক কোন সময় মধু খেলে মিলবে বেশি উপকার? চলুন জেনেন নিই-
মধুর হাজার গুণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, মধুতে রয়েছে একাধিক উপকারী সব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যে কারণে এই মিষ্টি খাবার খেলে কমে প্রদাহের প্রকোপ। দূরে থাকে ক্যানসারের মতো অসুখ। শুধু তাই নয়, এতে মজুত কিছু উপাদানের গুণে কমে ব্লাড প্রেশার। এমনকি সুস্থ থাকে হার্ট। এর পাশাপাশি মধুর রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ। তাই কাটাছেঁড়ায় মধু লাগালে উপকার মেলে। সেই সঙ্গে সর্দি-কাশিতেও মধু খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাই আজ থেকেই এই মিষ্টি উপাদানকে ডায়েটে করে দিন জায়গা।
দিনের কোন সময় মধু খাবেন?
দিনের যে কোনও সময় মধু খেতে পারেন। তাতে সমস্যার কিছু নেই। উপকার পাবেন। তবে বেশি উপকার পেতে চাইলে একদম সকালে উঠে মধু সেবন করুন। তাতে যেমন ফিরবে স্বাস্থ্যের হাল, ঠিক তেমনই শরীরে এনার্জির ঘাটতিও মিটে যাবে। তাই চেষ্টা করুন সকাল সকাল মধু খাওয়ার। তবে যারা সকালে এই মিষ্টি উপাদান সেবন করতে চাইছেন না, তারা দিনের অন্য সময় গ্রহণ করুন। এই কাজটা করলেও তেমন কোনও ক্ষতি নেই।
মধু কীভাবে খাবেন?
সকাল সকাল এক চামচ মধু খেয়ে নিতে পারেন। এভাবে খেলেই উপকার পাবেন বেশি। তবে কেউ শুধু শুধু মধু না খেতে চাইতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনারা দুধে বা চায়ে চিনির বদলে মধু মিশিয়ে নিন। তাতেও উপকার পাবেন হাতেনাতে।
এছাড়া সর্দি, কাশির সময় এক চামচ মধুতে এক টুকরা তুলসী পাতা ফেলে দিতে পারেন। তারপর চট করে তা গলায় চালান করে দিন। এই কাজটা করলেই সর্দি, কাশির প্রকোপ কমবে। ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে গলা ব্যথার মতো সমস্যা। তাই বিপদে পড়লে এই টোটকার কথা ভুলবেন না যেন।
মধু কারা খাবেন না?
মধুর মতো উপকারী একটি উপাদানও সকলের খাওয়া চলবে না। বিশেষত, ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই মধু থেকে দূরে থাকুন। আপনারা মধু খেলে হুট করে সুগার বেড়ে যাবে। যার ফলে পিছু নেবে একাধিক বিপদ। এর পাশাপাশি কিডনির অসুখ থাকলেও এড়িয়ে চলতে হবে মধু।
প্রসঙ্গত, কোনও সুস্থ মানুষই দিনে ২ চামচের বেশি মধু খাবেন না। এই ভুলটা করলে সমস্যায় পড়তে পারেন। তাতে পিছু নিতে পারে একাধিক অন্য সমস্যা।
এস/ আই.কে.জে