ছবি: সংগৃহীত
সাফজয়ী সাবিনা খাতুনরা পরিবারের জন্য ঢাকায় আবাসন সুবিধা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের এলাকায় সংস্কারসহ তাদের খেলা সংক্রান্ত কিছু চাহিদাও বৈঠকে তুলে ধরা হয়।
সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ মেয়েদের দলের ফুটবলাররা শনিবার (২রা নভেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই দাবী তুলে ধরেন।
সাক্ষাৎ শেষে বাফুফে ভবনে ফিরে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার অনন্যা মিডিয়ার সামনে এসেছিলেন। এবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নারী ফুটবলরাদের মধ্যে ঢাকায় স্থায়ী আবাসনের একটা চাহিদা উঠে এসেছে। আজ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন প্রধান উপদেষ্টাকে সেটি বলেছেন বলে জানান।
তিনি আরও জানান, ‘আমাদের পরিবারের অনেকে ঢাকায় আসে, কিন্তু তাদের থাকার জায়গা থাকে না। তাই প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি আমাদের পরিবারের জন্য একটি আবাসন ব্যবস্থার।’
ঢাকায় আবাসন ব্যবস্থার পাশাপাশি অনেক ফুটবলারের নিজ জেলার আবাসনও খুব নাজুক। অনেকের ঘর ভাঙা আবার অনেকের বাড়ির পথ দুর্গম। পাহাড়ি এলাকায় অনেকের বাড়িতে নেই বিদ্যুৎও। ব্যক্তিগত সমস্যাও প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেছেন ফুটবলাররা।
সাবিনা বলেন, ‘মারিয়া, কৃষ্ণা, মনিকা, মাসুরাসহ অনেকেই ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বলেছেন। যেমন মনিকার বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা খারাপ এবং সেই এলাকার বিদ্যুৎ সমস্যা।’
ব্যক্তিগত ও কমন চাহিদার পাশাপাশি ফুটবলের কিছু বিষয় নিয়েও আলাপ করেছেন নারী ফুটবলাররা। ফুটবলের প্রধান ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এখনও সংস্কারাধীন। বাফুফে ভবনের পাশে টার্ফ ও কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফও অকেজো প্রায়। তাই নারীদের খুব ভোরে মতিঝিল থেকে বসুন্ধরায় যেতে হয়। নারী ফুটবলারদের অভাব-অভিযোগ মনোযোগ সহকারে শুনে লিখিত আকারে দিতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা, ‘তিনি আমাদের প্রতিটি বিষয় মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। সবগুলো লিখিত দিতে বলেছেন এবং সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন। আমরা ক্রীড়া উপদেষ্টার মাধ্যমে এই চিঠি দেবো।’
আরও পড়ুন: সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
নারী ফুটবলারদের সবচেয়ে বড় সমস্যা প্রীতি ম্যাচ খেলার সুযোগ কম পাওয়া। আর্থিক কারণে বাফুফে ম্যাচ আয়োজন করতে পারে না। তাই সরকারকে বাফুফের সহায়তা করার কথাও বলেছেন নারী ফুটবলাররা, ‘আমাদের মূলত দেখভাল করবে ফেডারেশন। নতুন সভাপতি তাবিথ (আউয়াল) স্যারকে আমাদের প্রয়োজনীয় সমস্যার কথা বলবো। সামগ্রিকভাবে নারী ও পুরুষ উভয় ফুটবল দলের জন্য সরকারের সহায়তা চেয়েছি।’
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল সরকার প্রধানের কাছ থেকে এর আগেও কয়েকবার সংবর্ধনা পেয়েছে। সেই সংবর্ধনাগুলো ছিল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অথবা গণভবনে। এবার সংবর্ধনাস্থল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায়। নতুন সংবর্ধনাস্থল সম্পর্কে অধিনায়ক বলেন, ‘গুণী মানুষদের কাছে যেতে পেরে ভালোই লাগে।’
এসি/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন