শনিবার, ১১ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়ে গুজব, যা বললেন ছেলে জয় *** ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবীরা সব সময় ধর্ম পালনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা *** বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংবিধান থেকে বিলুপ্তি চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন *** ‘কারা লুঙ্গি তুলে চেক করে মানুষ মেরেছে, তা সবারই জানা’ *** শান্তিতে নোবেলজয়ী মারিয়া মাচাদোকে অভিনন্দন জানালেন ড. ইউনূস *** শনিবার ভোরে দেশে ফিরছেন শহিদুল আলম *** ইসরায়েল থেকে মুক্ত শহিদুল আলম এখন তুরস্কে *** স্বামী নিখোঁজের পর দেবরের সঙ্গে বিয়ে, পরের দিনই হাজির স্বামী! *** সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর শরৎ উৎসব স্থগিত নিয়ে যা জানাল চারুকলা অনুষদ *** গাজায় যুদ্ধবিরতি ‘কার্যকর’, নিজ এলাকায় ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা, সরছেন ইসরায়েলি সেনারা

ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচন হবে কোন সংবিধানের অধীনে?

এসএম শামীম

🕒 প্রকাশ: ০৫:২০ অপরাহ্ন, ১২ই আগস্ট ২০২৫

#

২০২৪-এর জুলাই আন্দোলন, অনির্বাচিত সরকার, সাংবিধানিক ফ্রেমওয়ার্ক, আমলাতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও আইনজীবী আবু হেনা রাজ্জাকী। গতকাল সোমবার (১১ই আগস্ট) গাজী টিভির টকশোতে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ সংবিধানিক কাঠামো নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলেন তিনি। 

টেলিভিশনটির ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করা টকশোর ভিডিওটি আজ মঙ্গলবার (১২ই আগস্ট) দুপুর ১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫ হাজার ১৬৬ বার দেখা হয়েছে। এতে উঠে এসেছে- 

সরকার, আমলাতন্ত্র ও মিডিয়া—একটি ত্রিফলা বাস্তবতা

আবু হেনা রাজ্জাকী বলেন, আমরা এখনো সেই জায়গা থেকে বের হতে পারিনি যেখানে সরকারি, বেসরকারি আমলা এবং মিডিয়া একটি অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার ত্রিকোণ গঠন করে। এই ত্রয়ীর সঙ্গে যদি রাজনীতিবিদদের সহযোগিতা যুক্ত হয়, তবে একটি ছায়া-শাসন কাঠামো তৈরি হয়—যেখানে জনগণের ভূমিকা সীমিত থাকে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যে সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, সেটি প্রকৃতপক্ষে ‘একটি পরিস্থিতির সরকার’, রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত নয়। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রায় ২০০টি আন্দোলনের মুখোমুখি হয়েছে—এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা।

জুলাই থেকে এক দফা—আন্দোলনের গতিপথ ও রূপান্তর

রাজ্জাকী বলেন, জুলাই মাসের ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়—কোটা আন্দোলন দিয়ে শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত তা গিয়ে ঠেকেছে এক দফা ‘পদত্যাগ’ দাবিতে। তার ভাষায়, ‘রোগ-শোক অনেক থাকলেও, মৃত্যুই চূড়ান্ত অবস্থা—এক দফা দাবির আগমন সেই চূড়ান্ত মৃত্যু।’

তার মতে, এই আন্দোলনের প্রকৃত হোমওয়ার্ক ছিল সরকারপ্রধানকে অপসারণ করা। কিন্তু এটি কেবল একটি ধাপ ছিল, পরবর্তী সিকোয়েন্স কী হবে, সে সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ছিল না।

বিশেষ করে যখন রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের পরিকল্পনা আসে এবং সেখানে আন্দোলন থেমে যায়, তখন বোঝা যায় যে আন্দোলনের রূপরেখা ও কৌশল অগোছালো ছিল।

সামরিক বাহিনী ও আন্দোলন—অস্পষ্ট সমীকরণ

এক পর্যায়ে আলোচক বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) পতনের সময় সামরিক বাহিনী ‘ঘুরে দাঁড়ায়’ এবং আন্দোলনের পক্ষে চলে যায়—এই ইঙ্গিত একটি সংবেদনশীল বার্তা দেয়। যদিও বিষয়টি বিতর্কিত, কিন্তু তিনি সরাসরি বলেননি, বরং ‘আমি এই বিতর্কে যাচ্ছি না’ বলে পাশ কাটান।

নির্বাচন, সংস্কার, বিচার—পুনঃআলোচনার তিন উপাদান

আন্দোলনের পরে জনগণ ও রাজনৈতিক পরিসরে যেসব বিষয় সামনে এসেছে সেগুলো হলো:

নির্বাচন

সংস্কার

বিচার

এই তিনটি ইস্যুর মধ্য দিয়ে আবারো একই চক্রে আমরা ঘুরপাক খাচ্ছি কী না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। তবে রাজ্জাকী মনে করেন, প্রেক্ষাপট পুরনো হলেও বাস্তবতা আপডেট হয়েছে—এখন সংস্কারের দাবিও জোরালো, শুধু প্রতিবাদ নয়।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা এসেছে জুলাই ঘোষণাপত্র ও নির্বাচন সংক্রান্ত সাংবিধানিক প্রশ্ন নিয়ে। রাজ্জাকী বলেন:

সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্ট ভাঙার পর তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। অথচ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঘোষণার মাধ্যমে সংবিধানের এই ধারা লঙ্ঘন হয়েছে।

জুলাই ঘোষণাপত্রে সরকার পরিচালনার সময়সীমা বা প্রধান উপদেষ্টার মেয়াদ স্পষ্টভাবে বলা হয়নি।

এই ঘোষণাপত্র এক ধরনের ‘অস্থায়ী সংবিধান’ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যদিও এটি স্বীকৃত নয়।

তিনি প্রশ্ন তোলেন—‘এই সরকার যদি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দেয়, তাহলে সেটা কোন সংবিধানের অধীনে?’

এমন প্রশ্ন সংবিধান ও আইনপ্রণয়ন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করে।

রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা কোথায়?

আবু হেনা রাজ্জাকী ক্ষোভের সুরে বলেন, এত দাবি-দাওয়ার ভেতরে একটি রাজনৈতিক দলও স্পষ্টভাবে বলেনি যে, ‘এই সরকার অস্থায়ী, নির্বাচন দিয়ে যাবে, পরে নির্বাচিত সরকার সংস্কার বাস্তবায়ন করবে’। এই অভাব থেকেই বোঝা যায়, রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন থেকেছে বা সঠিকভাবে কাঠামোবদ্ধ বার্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

অস্থায়ী বাস্তবতার মধ্যে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ এখন এক অনিশ্চিত রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দাঁড়িয়ে, যেখানে সংবিধান, প্রতিষ্ঠান, সরকার এবং আন্দোলনের প্রত্যাশা—সবই একে অপরকে প্রশ্ন করছে।

জুলাই ঘোষণাপত্র দিয়ে সরকার একটি অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করেছে, কিন্তু সেটি আইনি ও সাংবিধানিকভাবে কতটা গ্রহণযোগ্য—তা এখনো অস্পষ্ট।

যদি নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হয়, তবে তা কোন সংবিধান অনুযায়ী হচ্ছে, এই প্রশ্নের উত্তর না দিলে তা ভবিষ্যতের গণতন্ত্রের জন্য একটি বড় সংকট হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন আবু হেনা রাজ্জাকী।

আবু হেনা রাজ্জাকী

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়ে গুজব, যা বললেন ছেলে জয়

🕒 প্রকাশ: ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, ১১ই অক্টোবর ২০২৫

ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবীরা সব সময় ধর্ম পালনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

🕒 প্রকাশ: ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, ১১ই অক্টোবর ২০২৫

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংবিধান থেকে বিলুপ্তি চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন

🕒 প্রকাশ: ০১:২৩ পূর্বাহ্ন, ১১ই অক্টোবর ২০২৫

‘কারা লুঙ্গি তুলে চেক করে মানুষ মেরেছে, তা সবারই জানা’

🕒 প্রকাশ: ০১:১১ পূর্বাহ্ন, ১১ই অক্টোবর ২০২৫

শান্তিতে নোবেলজয়ী মারিয়া মাচাদোকে অভিনন্দন জানালেন ড. ইউনূস

🕒 প্রকাশ: ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, ১১ই অক্টোবর ২০২৫

Footer Up 970x250