বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতের সবজি গ্রীষ্মে আবাদ, লাভবান চাষিরা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৫২ অপরাহ্ন, ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহের মাটিতে বছর জুড়ে নানা ধরনের সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। গেল কয়েক বছর সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি গ্রীষ্মে আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। বিশেষ করে শীতের সবজি গ্রীষ্মে আবাদ করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন এই জেলার চাষিরা।

ব্যাপারীরা মাঠ থেকেই চাষিদের কাছ থেকে কিনে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠান। কৃষকরা বলেন, বছরের আষাঢ় মাসে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ শুরু হয়। প্রতিবিঘা জমিতে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার পর্যন্ত চারা রোপণ করা যায়। বীজতলায় চারাগাছ রোপণ থেকে শুরু করে মাত্র ৩ মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ করে, বিঘা প্রতি প্রায় লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করা যায়।

কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, এবছর তীব্র গরম ও বেশি পরিমাণ বৃষ্টি হয়। প্রতিকূল আবহাওয়াতেও তিন মাস অর্থাৎ ৯০ দিনের মধ্যে কপি বাজারজাত করতে পেরেছেন চাষিরা। প্রতি বিঘা জমিতে বাঁধাকপি ৫ টন ও ফুলকপি ৩ টন উৎপাদন হয়ে থাকে। এতে কৃষকরা বেশ ভালো অঙ্কের টাকা লাভ করে থাকেন।

আরও পড়ুন: এক জমিতে বছরে চার ফসল ফলিয়ে লাভবান হচ্ছেন কুমিল্লার কৃষকরা

জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের চাষি ইচা হক আলী বলেন, এবছর প্রতিবিঘা জমিতে বীজ, সার, কীটনাশকসহ খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। বর্তমান বাজার দাম ভালো থাকায় বেশ ভালো লাভ হচ্ছে। গেলো বছরও বিঘা প্রতি কপি বিক্রি করে খরচ বাদে চাষিদের  ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল।

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. সাইদ সিদ্দিকী (সংযুক্ত) জানান, কৃষি বিভাগের হিসেবে, জেলাতে ফুলকপি ও বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৪২৯ হেক্টর। আর এ পরিমাণ আবাদ থেকে ১৭ দশমিক ১২ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। ভৌগলিকভাবে জেলার মাটি উঁচু ভূমি হওয়ায় সময়ে অসময়ে সব ধরনের সবজি চাষ হয়ে থাকে। আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় না। অনান্য জেলার চাইতে এ জেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ কম হওয়ায় ভালোভাবে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ করা সম্ভব হয়।

এসি/কেবি

শীতের সবজি গ্রীষ্মে আবাদ

খবরটি শেয়ার করুন