ছবি: সংগৃহীত
মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে মাগুরায় শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা। আজ সোমবার (২৭শে অক্টোবর) সকালে শহরের নিতাই গৌর সেবাশ্রমসহ জেলার ৯৩টি পূজামণ্ডপে ঢাকের বাদ্য, উলুধ্বনি, শঙ্খ বাজিয়ে ষষ্ঠী পূজার অঞ্জলি দেন ভক্তরা। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস। চলবে আগামী ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত।
কাত্যায়নী পূজা উপলক্ষে জেলার প্রতিটি মণ্ডপ সেজেছে বর্ণিল সাজে। আধুনিক প্রযুক্তির লাইট, সাউন্ড সিস্টেম, পুরোনো দিনের স্থাপত্য নিদর্শনের আদলে তৈরি করা হয়েছে প্রতিটা মন্ডপ। পূজাকে কেন্দ্র করে গোটা শহর সেজেছে উৎসবের রঙে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে বিরাজ করছে আনন্দ-উদ্দীপনা। সার্বিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে সর্বত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
মাগুরা নিতাই গৌর সেবাশ্রমের অধ্যক্ষ বাবাজী চঞ্চল গোসাই বলেন, কাত্যায়নী পূজা সনাতন ধর্মালম্বীদের কাছে একটি ব্রত। ভগবান শ্রী কৃষ্ণকে পাওয়ার আশায় ভক্তরা এক মাস যমুনার তীরে ব্রত পালন করেন। সেখানে ভক্তরা বালি দিয়ে মা কত্যায়নী দেবীর মূর্তি তৈরি করে ভগবানের সন্তুষ্টি লাভের আশায় পূজা পালন করেন। তার পর থেকে সনাতন ধর্মালম্বীরা এই দেবির পূজা করেন।
মাগুরা জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাসুদেব কুন্ডু বলেন, কাত্যায়নী পূজা মাগুরার গর্ব। সাস্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধন কাত্যায়নী পূজা।
তিনি বলেন, এ বছর মাগুরা জেলার ৯২টি মন্ডপ সাজানো হয়েছে বর্নিল সাজে। পূজাকে কেন্দ্র করে প্রতিটা মন্ডপে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। পাঁচদিনব্যাপী পূজা নিয়ে প্রতিটা সনাতনী পরিবারে বইছে উৎসবের আমেজ।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরের মত এবারও মাগুরায় জেলা ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই পূজা যাতে নিরাপত্তার সাথে উৎযাপন হয়, সেজন্য পুলিশ সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করছে। প্রতিটা মন্দিরে একাধিক পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি সাদা পোষাকে পুলিশ সদস্য এবং আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
মাগুরাবাসীর বক্তব্য, কাত্যায়নী পূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়; এটি এখন মাগুরার সংস্কৃতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক হয়ে উঠেছে।
খবরটি শেয়ার করুন