বুধবার, ৩০শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৫ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল দিচ্ছেন উমামা, যোগদানের আহ্বান ফেসবুকে *** ১৫ই আগস্টের মধ্যে চাকসুর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা *** ‘প্রিয় বন্ধু’ ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের *** আইন ও বিচার বিভাগে পদায়ন বিধিমালা জারি *** এনসিপির অনুরোধে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন ছাত্রদলের *** চা-শ্রমিকদের মজুরি বছরে ৫ শতাংশ হারে বাড়বে *** বয়স ১৬ না হলে ইউটিউবে অ্যাকাউন্ট খোলা নিষিদ্ধ করল অস্ট্রেলিয়া *** বলিউড অভিনেতা দীলিপ কুমার ও রাজ কাপুরের পৈতৃক বাড়ি সংস্কার করছে পাকিস্তান *** আগামীকাল খসড়া সনদ রাজনৈতিক দলগুলোকে দেওয়ার আশা করছি: আলী রীয়াজ *** নিউইয়র্কে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি উৎসব অনুষ্ঠিত

পূর্বের ধারণার চেয়ে আগে ধ্বংস হবে মহাবিশ্ব, জানালেন বিজ্ঞানীরা

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৪৩ অপরাহ্ন, ১৩ই মে ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

পূর্বের ধারণার চেয়ে অনেক আগেই হয়তো মহাবিশ্বের মৃত্যু ঘটবে। এমনটাই জানিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের র‍্যাডবাউড ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানী। জার্নাল অব কসমোলজি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোপারটিকাল ফিজিক্সে প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা একটি গবেষণাপত্রে এ চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে।

বিজ্ঞানীদের ভাষ্য, মহাবিশ্বের বিভিন্ন বস্তু ধীরে ধীরে হকিং রেডিয়েশনের মাধ্যমে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। হকিং রেডিয়েশন হলো একটি কোয়ান্টাম বিকিরণ, যেখানে কৃষ্ণগহ্বর (ব্ল্যাক হোল) থেকে কিছু কণা বিকিরিত হয়ে ইভেন্ট হরাইজনের (ঘটনা দিগন্ত) বাইরে চলে যায়। ১৯৭০-এর দশকে পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং এ তত্ত্ব প্রস্তাব করেন।

নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে, শুধু কৃষ্ণগহ্বরই নয়, নিউট্রন তারকার মতো অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তু থেকেও হকিং রেডিয়েশনের মাধ্যমে শক্তির বিকিরণ ঘটছে। এর ফলে আগে ধারণা করা হতো যে, মহাবিশ্বের মৃত্যু ঘটবে 10¹¹⁰⁰ (অর্থাৎ ১-এর পরে ১১০০টি শূন্য) বছর পর। তবে এখন বলা হচ্ছে, এ সময় কমে দাঁড়াতে পারে 10⁷⁸ (অর্থাৎ ১-এর পরে ৭৮টি শূন্য) বছরে।

র‍্যাডবাউড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক হেইনো ফাল্কে বলেন, ‘মহাবিশ্বের চূড়ান্ত অবসান পূর্বের ধারণার চেয়ে অনেক আগেই হতে পারে, তবে সেটি এখনো দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার।’

গবেষণায় দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি সময় টিকে থাকা বস্তু যেমন শ্বেত-বামন, সেগুলোও একসময় হকিং রেডিয়েশনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিলীন হবে। গবেষণাটি মহাবিশ্বের শেষ পরিণতি নিয়ে আমাদের ধারণায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝিতে পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং একটি যুগান্তকারী তত্ত্ব উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, কৃষ্ণগহ্বর (ব্ল্যাক হোল) থেকেও বিকিরণ (রেডিয়েশন) বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে, যা আলবার্ট আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্বের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। হকিংয়ের ব্যাখ্যায়, কৃষ্ণগহ্বরের প্রান্তে জোড়ায় জোড়ায় কণার সৃষ্টি হতে পারে, এরপর তাৎক্ষণিকভাবে একটি শোষিত হয়, অন্যটি মহাশূন্যে হারিয়ে যায়।

তবে এখন বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, শুধু কৃষ্ণগহ্বরই নয়, হকিং রেডিয়েশনের প্রভাব পড়তে পারে অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তুর ওপরও। গবেষণায় দেখা গেছে, নিউট্রন তারকার মহাকর্ষ বল তুলনামূলকভাবে দুর্বল হলেও হকিং রেডিয়েশনের কারণে একই সময়ে (10⁷⁸ বছর) ক্ষয় হতে পারে। তাত্ত্বিকভাবে দুর্বল মহাকর্ষ বল এ বিকিরণ প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেওয়ার কথা, তবে গবেষণায় ভিন্ন ফল মিলেছে।

সহ-গবেষক মাইকেল ওয়ানড্রাক জানান, কৃষ্ণগহ্বরের কোনো পৃষ্ঠতল নেই, ফলে এরা নিজেদের বিকিরণের কিছু অংশ শোষণ করে ফেলে, যা বিকিরণ প্রক্রিয়াকে ধীর করে।

এইচ.এস/

গবেষণা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন