ছবি: সংগৃহীত
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি পর্যালোচনা সভায় জানানো হয় ২০১০ সাল থেকে আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতে ৬৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেও আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি।
সোমবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সভাকক্ষে সচিব ডা. মো. মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ২০১০ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, কিন্তু এর ফল পায়নি দেশের মানুষ। টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি খাতে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত ৬৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে, যার মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ২৫ হাজার কোটি টাকা এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ নিয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। এর পরও জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন এর আইসিটি ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স এর জুন, ২০২৪ অনুযায়ী বাংলাদেশ ১০০ মধ্যে ৬২ স্কোর করেছে। এক্ষেত্রে মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভিয়েতনাম ও ভুটানের পরে বাংলাদেশের অবস্থান। ওকলা স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স মে, ২০২৪ এর ইন্টারনেট গতির তালিকায় ১৪৭ দেশের মধ্যে ইন্টারনেট সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯তম। এক্ষেত্রে কেনিয়াও বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে।
এই সকল সূচক দেখলে ঠিকভাবে প্রতীয়মান হয় ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রকৃত সুযোগ সুবিধা দেশের জনগণ পায়নি বরং এক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, প্রায় সব জায়গায় দেখা যায় নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ হয় না, এক দু বার সময় বাড়ানোর পরে আবারও সময় বাড়ানোর প্রয়োজন হয়। তাই এখন যে কয়েকটি প্রকল্পের সময় বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে তা যেন বুঝে শুনে বাড়ানো হয় ।
আরও পড়ুন: ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব হলেন খুরশেদ আলম
প্রকল্পগুলো ঠিক মতো শেষ করতে পারলে বাংলাদেশে ইন্টারনেট এবং টেলিযোগাযোগ খাতে অনেক অগ্রগতি হবে যার সুফল দেশবাসী ভোগ করবে বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।
এসি/ আই.কে.জে