ছবি: সংগৃহীত
আদর্শ বিক্রি না করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভাচুর্য়াল মতবিনিময় সভায় ঢাকা থেকে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ৯ই মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন। শুনেছি এটা নিয়ে টাকা পয়সার খেলা হচ্ছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি আমার এলাকার মেম্বার—চেয়ারম্যানরা এমন না। তারা বিক্রি হবেন না।’ এসময় তিনি জনপ্রতিনিধিদেরকে আদর্শকে বিক্রি না করার আহবান জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে আপনারা শান্তিতে আছেন, আপনারা শান্তি দেখতে পেয়েছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মানুষকে তাদের অধিকার শিখিয়েছেন। তা নাহলে এই দেশের মানুষ অধিকার সম্পর্কে জানত না । বঙ্গবন্ধু সবসময় নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক আন্দোলন করতেন। কখনো নিয়মের বাইের রাজনীতি করতেন না। তিনি সহিংসতার রাজনীতি করতেন না, মানুষ হত্যায় বিশ্বাসী ছিলেন না। তিনি বিশ্বাসী ছিলেন গণতন্ত্রে।
আরো পড়ুন: ৭ই মার্চ উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট ও খাম অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
সেই গণতন্ত্রের জন্য ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সারাবিশ্ব যখন এই ভাষণ শুনেছে, তখন তারা বুঝতে পেরেছে এই ভাষণ হবে একটি ঐতিহাসিক ভাষণ। এই ভাষণ শুনে আমাদের চোখে পানি এসেছিলো, এ ভাষণে আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধে যাওয়ার উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের ১৮ জনকে হত্যা করা হয়। সেদিন খন্দকার মুস্তাক, জিয়াউর রহমান ও তার দোসররা আসলে বাংলাদেশকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। তারা বাংলাদেশের উপর আবার পাকিস্তানি কায়দায় হত্যাযজ্ঞ চালায়। জিয়া এই দেশে রাজাকার ও আলবদর দিয়ে সরকার গঠন করেছিলো। আজ তারা বড়বড় কথা বলে, তারা নাকি গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছে, তারা সব সময় হত্যাতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছে।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন। আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল আলম খোকন, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবদুল আজিজ, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আফজল হোসেন রিমন প্রমুখ।
এইচআ/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন