ছবি: সংগৃহীত
রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আইনজীবী ড. পায়াম আখভান সোমবার (৪ঠা মার্চ) সংসদ ভবন কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সরকারপ্রধান বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের অবশ্যই তাদের নিজ ভূমিতে মর্যাদাপূর্ণভাবে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। কোনো ধরণের বিদ্রোহের জন্য কাউকে তার ভূখণ্ড ব্যবহার করতে না দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এই নীতিতে বিশ্বাস করে এবং ভবিষ্যতেও কাউকে তা করতে দেবে না।
আরো পড়ুন: গত জুন পর্যন্ত মেট্রোরেলের আয় ১৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) প্রত্যাবাসন এখন সেখানকার (মিয়ানমার) অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে জটিল বলে মনে হচ্ছে। রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের নাগরিকদের আগমনে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ এখন সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। তারা আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করছে।
রোহিঙ্গা যুবক-যুবতীদের কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে তিনি বলেন, সরকার ভাসানচর দ্বীপে এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে এবং এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এইচআ/