বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেক সন্তানের জন্য যে দোয়া ও আমল করবেন

ধর্ম ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৪৫ অপরাহ্ন, ৩০শে মে ২০২৪

#

প্রতীকী ছবি

সন্তান মানুষের জীবনে আল্লাহর দেওয়া সবচেয়ে বড় নিয়ামত। সন্তানের জন্য আল্লাহর কাছে হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালাম প্রার্থনা ছিল অবিরত। যিনি বার্ধক্যে উপনীত হওয়ার পরও মহান আল্লাহ তাআলা তাকে দান করেছিলেন একজন নেক সন্তান। কী দোয়া করেছিলেন তিনি? সন্তান লাভের কার্যকরী আমলই বা কী?

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মহান আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে অধিক মর্যাদাপূর্ণ বিষয় আর নেই।’ (তিরমিজি) আর আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে তার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করতে বলেছেন- তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন : আত ৬০)

নেক সন্তানের জন্য ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া

মহান আল্লাহর নবী ইবরাহিম (আ.) নেক সন্তানের জন্য দোয়া করেছিলেন। তার দোয়া কবুলও করা হয়। দোয়াটি ছিল:

উচ্চারণ: রাব্বি হাবলি মিনাস সলিহিন।

অর্থ: হে আমার প্রতিপালক, আমাকে একটি সুপুত্র দান করুন। (সুরা সাফফাত, আয়াত: ১০০)

যারা নেক সন্তান চান, মহান আল্লাহর কাছে নবী ইবরাহিম (আ.)-এর এ দোয়াটি পড়ে দোয়া করতে পারেন। দোয়াটি ছোট, তাই নামাজের পর মুনাজাতে কিংবা হাঁটতে-চলতে দোয়াটি পড়তে পারেন।

কোরআনে নেক সন্তান লাভের আমল

মহান আল্লাহর প্রিয় বান্দারা পুণ্যবান স্ত্রী ও সন্তানের জন্য দোয়া করবেন। এমন একটি দোয়া মহান আল্লাহ শিখিয়ে দিয়েছেন। কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন,

উচ্চারণ: রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া যুররিয়্যাতিনা কুররাতা আইয়ুন, ওয়া জাআল না লিল মুত্তাকিনা ইমামা।

অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের জীবনসঙ্গীর পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য চোখের শীতলতা দান করুন এবং আমাদের আল্লাহভীরুদের জন্য আদর্শস্বরূপ দান করুন। (সুরা ফুরকান, আয়াত: ৭৪)

নেক সন্তানের জন্য জাকারিয়া (আ.)-এর দোয়া

হযরত জাকারিয়া (আ.) নিঃসন্তান ছিলেন। হযরত মারইয়াম (আ.) বায়তুল মোকাদ্দাসে হযরত জাকারিয়া (আ.)-এর তত্ত্বাবধানে ছিলেন। একদিন তিনি দেখলেন, মহান আল্লাহ মৌসুম ছাড়াই হযরত মারইয়াম (আ.)-কে ফল দান করেছেন। তখন তার মনে সন্তান লাভের আকাঙ্ক্ষা জেগে ওঠে। তিনি মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন-

উচ্চারণ: রাব্বি লা তাযারনি ফারদান ওয়া আনতা খাইরুল ওয়ারিসিন।

অর্থ: হে আমার পালনকর্তা! আমাকে একা রেখ না। তুমি তো উত্তম ওয়ারিশ। (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৮৯)

এ দোয়া কবুল হওয়া প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন,

উচ্চারণ: ফাসতাজাবনা লাহু ওয়াওয়াহাবনা লাহু ইয়াহইয়া ওয়া আসলাহনা লাহু জাওজাহু।

অর্থ: অতঃপর আমি তার দোয়া কবুল করেছিলাম, তাকে দান করেছিলাম ইয়াহইয়া এবং তার জন্য তার স্ত্রীকে প্রসবযোগ্য করেছিলাম। (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৯০)

ওআ/

আমল দোয়া

খবরটি শেয়ার করুন