শুক্রবার, ৩রা অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** পাকিস্তানের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধানের *** মানচিত্র থেকে পাকিস্তানকে মুছে ফেলার হুমকি দিলেন ভারতের সেনাপ্রধান *** ফ্লোটিলা বহর আটকের তীব্র নিন্দা জানাল বাংলাদেশ *** ভারতের ধনী নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৫০১৭০ কোটি নিয়ে শীর্ষে জয়শ্রী, ষষ্ঠ বলিউড নায়িকা *** ২০২৬ বিশ্বকাপের অফিশিয়াল বল ট্রাইওন্ডা আসলে কী *** যেভাবে আসামে হিন্দু-মুসলিম বিভাজিত সমাজে ঐক্যের সুর হয়ে উঠলেন জুবিন গার্গ *** ফ্লোটিলার সর্বশেষ জাহাজটির বর্তমান অবস্থান, স্টারলিংকের ইন্টারনেট এখনো সচল *** মাথা ঠান্ডা করে আরামে ঘুমান, নিজেদের সমস্যায় মন দিন—পশ্চিমা নেতাদের পুতিন *** বাড়লে গরম, বাড়ে চিনি খাওয়াও—বিস্ময়কর তথ্য দিলেন বিজ্ঞানীরা *** কাশ্মীরের সবচেয়ে আলোচিত বিচ্ছিন্নতাবাদী ছিলেন ভারতীয় গুপ্তচর—বিস্ফোরক দাবি

টিয়া সুপার করলা চাষে সাফল্য পেয়েছেন কৃষক তৈয়ব আলী

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, ৩০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের কাউখালীতে করলা চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছেন কৃষক তৈয়ব আলী। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের এসএ সি পি প্রকল্পের আওতায় পঞ্চাশ শতাংশ জায়গার উপর স্থায়ী মাচা তৈরি করে করলা (টিয়া সুপার) চাষ করেন সদর ইউনিয়নের কেউন্দিয়া ব্লকের ঝাপষী গ্রামের আসমত আলীর ছেলে তৈয়ব আলী।

এ প্রকল্পে কৃষককে সহযোগিতা করে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ, সার, মাচাসহ বিভিন্ন উপকরণ দেওয়া হয়েছে। সরেজমিনে কৃষক তৈয়ব আলীর প্রকল্প এলাকায় গেলে তৈয়ব আলী তার কৃষিকাজের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, মাত্র ৫০ শতাংশ জমির উপর করলা চাষ করা হয়। এতে তার খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

তিনি বলেন, মে মাসে করলা চারার বীজ বপন করা হয়। জুলাই মাস থেকে করলা বিক্রি শুরু করা হয়েছে। প্রায় ২০ মণ করলা বিক্রি করা হয়েছে। প্রতি মন করলা ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়েছে। ব্যাপারীরা তার খামার থেকে করলা কিনে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: গ্রীষ্মকালীন তরমুজে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক

এছাড়া স্থানীয় বাজারে খুচরা হিসেবে প্রতি কেজি করলা ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন বলে তিনি জানান। এ পর্যন্ত লক্ষাধিক টাকার করলা বিক্রি করেছেন। এখনো আরো ১০ মন করলা বিক্রি করতে পারবেন। তৈয়ব আলীর স্ত্রী, চার ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়েকে বিবাহ দিয়েছে এবং এক ছেলেকে দেশের বাইরে পাঠিয়েছেন। অন্য ছেলেরা তার কৃষি কাজে সহযোগিতা করছে। ছেলে-মেয়েদের বেশি লেখাপড়া করাতে পারেননি তিনি। করলার পাশাপাশি বরবটি, কাঁকরোল, বেগুন, লাউসহ বিভিন্ন সবজি সারা বছরই চাষ করে থাকেন। এ দিয়ে তার সংসার ভালোই চলছে বলে তিনি হাসিমুখে বলেন। নিজের কাজ করতে তিনি গর্ববোধ করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোমরানি দাস বলেন, আমরা সর্বক্ষণিক কৃষক তৈয়ব আলীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করি এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সহ কৃষি সংক্রান্ত সরকারি অনুদান দিয়ে থাকি। আমার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পবিত্র কুমার রায় সার্বক্ষণিক কৃষকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

এসি/ আই.কে.জে

করলা চাষ কৃষক তৈয়ব আলী

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250