বুধবার, ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৩রা আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** দাতাগোষ্ঠী হাত খুলে টাকা দিতে চাচ্ছে : পরিকল্পনা উপদেষ্টা *** সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ *** ২০শে সেপ্টেম্বর থেকে প্রতি শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল *** বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে যে সতর্ক বার্তা দিলেন গৌতম গম্ভীর *** একদিনে ট্রাফিকের ২৯২ মামলা, জরিমানা ১৭ লাখ টাকা *** কুয়েতে ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ নিচ্ছেন ৫৫ হাজার প্রবাসী *** সাবেক তিন সিইসি ও কমিশনারদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা *** একনেকে ৩৩০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে চার প্রকল্প অনুমোদন *** হাজার কোটি টাকা পাচার, সালমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে সিআইডির ১৭ মামলা *** নারী বিশ্বকাপের জন্য স্কোয়াড দিলো বাংলাদেশ

তিল চাষে আগ্রহ বাড়ছে মেহেরপুরের কৃষকদের

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, ৩০শে আগস্ট ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

তিল এখন অভিজাত ফসল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভোজ্যতেল হিসেবে চাহিদা বাড়ার কারণে অল্প শ্রমে এবং কম খরচে সব ধরনের মাটিতে উৎপাদন হওয়ায় তিল চাষে আগ্রহ বেড়েছে মেহেরপুর জেলার কৃষকদের। জেলার চাষিরা তিলচাষে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে যাবে তিল চাষিদের ভাগ্য।  উৎপাদিত তিল জেলার ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এক সময় মেহেরপুরের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে তিল চাষ ছিল। যাদের জমি কম তারাও রবিশষ্য জাতের তিলচাষ করতেন জমির একপাশ দিয়ে। পারিবারিক তেলের চাহিদা ও সুস্বাদু খাবারের জন্য তিল চাষ করতেন তারা। বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও কৃষক তিল চাষ করতো। তিলের তেলের চাহিদাও ছিল অনেক। কয়েক বছর আগেও জেলার ১৮টি ইউনিয়নের মাঠে-মাঠে তিলচাষ দেখা যেতো। নানা কারণে তিল চাষে কৃষকের আগ্রহ কমেছিলো।  

কৃষকরা বলছেন, ফলন কম এবং খরচ বেশি হওয়ায় তিল চাষ থেকে তারা সরে এসে অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকে পড়েন। এর ফলে জেলায় তিল চাষ কমে গিয়েছিল। বর্তমানে কৃষি বিভাগের পরামর্শে তিলচাষ বৃদ্ধি পেছে।

ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ বছর  মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর মিলে ৯০ হেক্টর জমিতে তিল চাষ হয়েছে। অনেকে পারিবারিক তেলের চাহিদা মেটাতে তিলচাষ করছেন।

আরও পড়ুন: সমন্বিত কৃষি খামার উদ্যোক্তাদের এগিয়ে যাবার নতুন সম্ভাবনা

সদর উপজেলার কামদেবপুর গ্রামের তিল চাষি হরমুত আলী শখের বশে এক বিঘা জমিতে তিলচাষ করেছেন। তিনি বলেন, এক বিঘা জমিতে তিল চাষ করলে ৫ মণ ফলন পাওয়া যায়। বাজারে এখন আর আগের মতো তিলের তেলের চাহিদা নেই। তিলের তেলের পরিবর্তে মানুষ সয়াবিন তেল ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। বিগত বছরগুলোয় বোরো ধান এবং ভুট্টায় ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় তিল চাষে আগ্রহ হারায় কৃষক। তিনি জানান, অল্প পরিশ্রমের ফসল তিল। অন্যান্য ফসলের মতো তিল চাষে তেমন ঝামেলা নেই বললেই চলে। কীটনাশক ও সারও প্রয়োগ করতে হয় না। ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি ৫ থেকে ৬ মণ তিল পাওয়া যায়।

গাংনী উপজেলার রাঁধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামের চাষি আজগর আলী জানান, আমন আবাদের পর ক্ষেত যখন খালি থাকে তখন তিল চাষ করা যায়। এতে ধানের কোনো ক্ষতি হয় না। তিল চাষে সার ও কীটনাশক লাগে না বললেই চলে। গরু-ছাগলে তিল খায় না, তাই রক্ষণাবেক্ষণে কোনো খরচ হয় না।

গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের তিল চাষি রহমান সরকার বলেন, এক একর জমিতে তিল আবাদ করেছি। বারি তিল-৩ ও বারি তিল-৪ বীজ বপন করেছিলাম। ফুল ও ফলে ভরে যাচ্ছে গাছ। আশা করছি, বিঘা প্রতি ৫-৬ মণ করে তিল পাবো। সরকারি সহযোগিতা পেলে তিলের আবাদ বাড়াবো।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, এ বছর বারি তিল-৩ ও বারি তিল-৪ আবাদ করেছেন চাষিরা। ফলন ভালো হয়েছে। এ ফসল নিয়ে কৃষকদের মধ্যে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা তিল চাষিদের আগ্রহ বৃদ্ধিতে সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখবো। তিল একটি লাভজনক ফসল হওয়াতে দিন-দিন তিলের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এসি/ আই.কে.জে/

কৃষক তিলচাষ

খবরটি শেয়ার করুন