সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৮ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ২৯শে ডিসেম্বর লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া *** ২০শে জানুয়ারির মধ্যে সব পাঠ্যবই সরবরাহের নির্দেশ *** মুম্বাইয়ে অরিজিতের কনসার্টের টিকিটের মূল্য লাখ টাকা *** তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে রাহাত ফতেহ আলী খানের সৌজন্য সাক্ষাৎ *** সাধারণ মানুষ সংস্কার বোঝে না, তারা বোঝে যেন ভোট ঠিকভাবে দিতে পারে : ফখরুল *** বাংলাদেশকে আরও ৪০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক *** নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চলবে : পরিবেশ উপদেষ্টা *** ‘মহাকালের পাতায় হাসান আরিফের কৃত্তি লেখা থাকবে’ *** দুদক চেয়ারম্যান নিজের সম্পদের হিসাব দিলেন *** ওয়েজ বোর্ড সিস্টেম বাতিল করে সাংবাদিকদের নূন্যতম বেতন চালু করা উচিত : শফিকুল আলম

২৬০০ লিটার বুকের দুধ দান করে বিশ্বরেকর্ড

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৮:০৭ অপরাহ্ন, ২৭শে নভেম্বর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

শিশুদের জন্য মায়ের বুকের দুধের বিকল্প নেই। তবে নানা কারণে অনেক শিশুই সেই মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত হয়। এরকম সাড়ে ৩ লাখ শিশুর সাহায্যে ২৬০০ লিটারের বেশি বুকের দুধ দান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের অ্যালিসা ওগলেট্রি নামের এক নারী। আর এর মাধ্যমে তিনি বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন।

দ্য গার্ডিয়ানসহ একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, অ্যালিসা ওগলেট্রির সমান বুকের দুধ পৃথিবীর আর কেউ দান করেননি। এখন পর্যন্ত তিনি ২ হাজার ৬৪৫ লিটারের বেশি স্তন্য দুগ্ধ দান বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন।

৩৬ বছর বয়সী ওগলেট্রি এর আগে ২০১৪ সালেও ১ হাজার ৫৬৯ লিটার দুগ্ধ দান করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছিলেন। এবার তিনি নিজের কৃতিত্বকেই ছাড়িয়ে গেছেন।

যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি দুধ দান করেন, নর্থ টেক্সাসের সেই ‘মাতৃদুগ্ধ ব্যাংকের’ তথ্য অনুযায়ী—এক লিটার বুকের দুধ অন্তত ১১টি অকাল শিশুকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। এই গণনার ওপর ভিত্তি করে অনুমান করা হচ্ছে, সংস্থাটিতে এখন পর্যন্ত ওগলেট্রি যে পরিমাণ দুধ দান করেছেন, তা সাড়ে তিন লাখ শিশুকে টিকে থাকতে সাহায্য করেছে।

এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজারের বেশি শিশুকে সরবরাহ করা হয়েছে ওগলেট্রির বুকের দুধ। এমন নিঃস্বার্থভাবে মাতৃদুগ্ধ বিলানোর বিষয়ে সম্প্রতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে ওগলেট্রি বলেছিলেন, ‘আমার একটি বড় হৃদয় আছে, কিন্তু এত বেশি অর্থ নেই। ভালো কাজের জন্য তাই টাকা খরচ করতে পারি না। আমার একটি পরিবারও আছে। তবে দুগ্ধদানের মাধ্যমেই আমি প্রতিদান দিতে পারি।’

২০১০ সালে ছেলে কাইলকে জন্ম দিয়েছিলেন ওগলেট্রি। সেই সময় থেকেই তিনি বুকের দুধ দান করা শুরু করেছিলেন। কাইলের বয়স এখন ১৪ বছর। কাইলের জন্ম দেওয়ার পরই ওগলেট্রি বুঝতে পেরেছিলেন তার বুকে অস্বাভাবিক মাত্রায় বুকের দুধ তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থায় এক নার্স তাকে নবজাতকদের খাওয়ানোর জন্য সংগ্রামরত মায়েদের সাহায্য করার পরামর্শ দেন।

কাইলের পর কেজ (১২) ও কোরি (৭) নামে আরও দুই ছেলের জন্ম দিয়েছেন ওগলেট্রি। সারোগেট মা হিসেবে চতুর্থ আরেক সন্তানকেও গর্ভে ধারণ করেছিলেন তিনি। প্রতিবারই তার মা হওয়া আকাল শিশুদের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে।

ওগলেট্রির সন্তানেরা মায়ের দুগ্ধপান বন্ধ করার পরও ওগলেট্রির বুকে দুধ উৎপন্ন হচ্ছে। এ অবস্থায় দিন-রাত প্রতি ৩ ঘণ্টা পরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পাম্প করে দুধ বের করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন তিনি। পরে এই দুধ মিল্ক ব্যাংকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

ওআ/কেবি

বিশ্বরেকর্ড

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন