ছবি: সংগৃহীত
২০২৫ সালে হজে যেতে এক মাসে প্রাথমিক নিবন্ধন করেছেন এক হাজার ৮৭ জন হজযাত্রী। গত ১লা সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে হজের প্রাথমিক নিবন্ধন। সরকারি-বেসরকারি দুই মাধ্যমে হজে যেতে এ নিবন্ধন চলবে ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত।
চলতি অক্টোবর মাসের মধ্যেই হজের প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।
হজ পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (৪ঠা অক্টোবর) পর্যন্ত সরকারি মাধ্যমে ৬৩৪ জন ও বেসরকারি মাধ্যমে ৪৫৫ জনসহ মোট এক হাজার ৮৯ জন হজযাত্রী প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা, সচিব এবং হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব বর্তমানে সৌদি সফরে রয়েছেন। তারা সেখানে আগামী বছর হজে হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া এবং সৌদি প্রান্তের খরচের বিষয়ে নিশ্চিত হবেন। সৌদি হজ মন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন একটি বৈঠকও করবেন। উপদেষ্টার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি আগামী ৭ই অক্টোবর সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরবে। এরপর চলতি মাসের শেষ নাগাদ হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে।
২০২৫ সালের সাধারণ হজ প্যাকেজের মূল্য চলতি বছরের চেয়ে কমানোর চেষ্টা করা হবে বলে এরইমধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর নতুন ইমাম হলেন যারা
হজ এজেন্সি মালিকরা গণমাধ্যমকে বলছেন, হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত না হওয়ায় হজের প্রাথমিক নিবন্ধনের সাড়া নেই। অনেকেই পরিস্থিতি দেখছেন। প্যাকেজ ঘোষণার পর হয়তো সিদ্ধান্ত নেবেন, হজে যাবেন কি যাবেন না।
হজের প্রাথমিক নিবন্ধনের বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছিল, আগের কিংবা নতুন প্রাক-নিবন্ধিত যেকোন ব্যক্তি তিন লাখ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করতে পারবেন। হজ প্যাকেজ মূল্যের বাকি টাকা প্যাকেজে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের প্রাক-নিবন্ধন ফি ৩০ হাজার টাকা। আগামী বছর বাংলাদেশের জন্য হজযাত্রীর কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এই কোটা পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাথমিক নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানায় ধর্ম মন্ত্রণালয়।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছিল। বিশেষ হজ প্যাকেজের মধ্যমে হজ পালনে খরচ হয় ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা।
অন্যদিকে বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে সাধারণ প্যাকেজে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হয় ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয়েছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা।
এসি/কেবি