ছবি: সংগৃহীত
আসামের মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেল বহুবিবাহ প্রতিরোধ বিল। এই বিলের মাধ্যমে মুসলমান পুরুষেরা বহু বিবাহ করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বহুবিবাহের কারণে যেসব নারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের প্রস্তাবও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত রোববার (৯ই নভেম্বর) আসামের মন্ত্রিসভা বিলটির খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে।
আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করা এই বিল হেমন্ত বিশ্বশর্মা সরকারের জন্য একটি মাস্টারস্ট্রোক হতে চলেছে, এমনটাই জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। চলতি মাসের ২৫ তারিখ এই বিল পেশ হবে বিধানসভায়। শুধু মুসলমানেরা নন, উপজাতি ছাড়া যে কোনো ধর্মের পুরষেরা দ্বিতীয় বিয়ে করলে ওই আইনের অধীনে সাজা ভোগ করতে হবে। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, বিলটি পাস হলে বহুবিবাহকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। তিনি বলেন, ‘এ বিল পাস হওয়ার পর আসামে কেউ দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার বিয়ে করলে তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হবে। অভিযোগ প্রমাণ হলে সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে। এ আইনে গ্রেপ্তার হলে সঙ্গে সঙ্গে জামিন পাওয়ার সুযোগও থাকবে না।’
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বিলটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে— বহুবিবাহের শিকার নারীদের আর্থিক সহায়তার জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করা। তিনি ব্যাখ্যা করেন, ‘দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণে স্বামী জেলে গেলে ভুক্তভোগী নারীর কী হবে? অনেক সময় দেখা যায়, দ্বিতীয় বিয়ের পর প্রথম স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। আমাদের লক্ষ্য—কোনো নারী যাতে আর্থিক বা সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন। তাই ক্ষতিপূরণের জন্য আলাদা তহবিল গঠন করা হবে।’
তবে প্রস্তাবিত নতুন এই আইনের আওতার বাইরে থাকবেন উপজাতি জনগোষ্ঠী। আসাম সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উপজাতিদের নিজস্ব সামাজিক প্রথা ও আইন অনুসারে ষষ্ঠ তফসিলভুক্ত এলাকা, বিটিসি, কার্বিআংলং ও ডিমা হাসাও জেলায় এই আইন কার্যকর হবে না।
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালে অসমে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই বিল আইনে পরিণত হলে হিমন্তের অ্যাডভান্টেজ বাড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন