ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহীর মোল্লাপাড়ার মালপাহাড়িয়া মহল্লায় গিয়ে তাদের কথা শুনেছেন মানবাধিকারকর্মীরা। পাহাড়িয়াদের আশ্বস্ত করে তারা বলেছেন, সারাদেশ তাদের সঙ্গে আছে। তারা যেন ভয় না পান। অর্ধশতাব্দী ধরে বাস করেই তারা এখানে থাকার অধিকার অর্জন করেছেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মানবাধিকারকর্মীরা সমতলের আদিবাসীদের জন্য স্বাধীন ভূমি কমিশন গঠনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে তাগিদ দিয়েছেন বলে জানান।
আজ রোববার (৭ই সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা থেকে রাজশাহীর এই মহল্লায় আসেন চরচা ডটকমের সম্পাদক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সোহরাব হাসান, নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা, ব্লাস্টের প্রধান কার্যালয়ের প্রতিনিধি মিনহাজুল কাদির ও গ্রিন ভয়েসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আহসান হাবিব।
তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্লাস্টের রাজশাহীর সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট সামিনা বেগম, সেন্টার ফর ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব ভলান্টারি অর্গানাইজেশনের (সিসিবিভিও) সমন্বয়কারী আরিফ ইথার, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নেতা সুভাষ চন্দ্র হেমব্রম ও আদিবাসী ছাত্র পরিষদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দপ্তর সম্পাদক পলাশ কুমার মাহাতো।
তারা পাহাড়িয়াদের সর্দার বাবুল বিশ্বাসের কাছ থেকে সবকিছু শোনেন। বাবুল জানান, ভয়ে তিনিই প্রথম ঘর ভাঙেন। পরে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। তবে জেলা প্রশাসক না থাকায় তার সঙ্গে দেখা হয়নি।
এর আগে মহল্লায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, ‘পাহাড়িয়া সম্প্রদায়ের এসব মানুষ এখানেই জন্ম নিয়েছেন। তাদের বাপ-দাদাদের এখানেই মৃত্যু হয়েছে। একটা আইন আছে, যারা দীর্ঘ সময় ধরে এক স্থানে বাস করেন, সেখানে তাদের অধিকার জন্মায়। হঠাৎ করে কেউ একজন এসে বলছেন—এই জামির মালিক তিনি। এটা দেখে আমরা বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেছি। এখানে এসেছি সংহতি প্রকাশ করতে যে পাহাড়িয়া সম্প্রদায়ের এই মানুষগুলো একা নন, আমরা তাদের সঙ্গে আছি।’
জাকির হোসেন বলেন, ‘সাজ্জাদ আলী নাকি ১৯৯৪ সালে এই জমি কিনেছেন, আগে তো তিনি দাবি করেননি। হঠাৎ করে কেন? আমাদের কথা হচ্ছে, মানবিক দৃষ্টিতে দেখতে হবে। কেউ একজন এসে মালিকানা দাবি করবেন—এটা হয় না। আমাদের মনে হচ্ছে, যিনি দাবি করছেন, তিনি আসল মালিক নন। যিনি আসল মালিক ছিলেন, তার কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সাজ্জাদ কী করে এত দিন পর এসে দাবি করেন? আসল মালিক যদি জমি ছেড়ে চলে যান, তাহলে এটা সরকারি হবে। এটার পাশে বড় সরকারি রাস্তা আছে। এখন প্রভাবশালীর চোখ পড়েছে। আমরা চাই এদের নামে জমিটা রেকর্ড করে দেওয়া হোক।’
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন