ছবি : সংগৃহীত
ইতিবাচক চিন্তার সুফলের কথা আমরা নিশ্চয়ই শুনেছি। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ইতিবাচক চিন্তা করেন, তারা অবসাদ কাটিয়ে উঠতে পারেন সহজেই। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হয় বেশি, কমে যায় হৃদরোগের ঝুঁকি। ইতিবাচক চিন্তা সর্বরোগের ওষুধ নয়। তবুও নেতিবাচক চিন্তার চেয়ে আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু এই ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তোলার জন্য চাই কঠোর অনুশীলন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেজন্য কী করতে হবে-
দিনের শুরু
দিনের শুরুটা হোক ইতিবাচক চিন্তা দিয়ে। আপনি যদি দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন এবং আতঙ্কিত হন তবে আপনাকে সারাদিন সেই নেতিবাচক অনুভূতি বহন করতে হতে পারে। এর পরিবর্তে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ‘আজ একটি ভালো দিন হবে’ বা ‘আজ দুর্দান্ত কিছু হতে যাচ্ছে’ এরকম কিছু ভাবুন। চেষ্টা করুন প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠতে। তবে কখনো কখনো দেরি হয়ে গেলে সেজন্য নেতিবাচক চিন্তা দিয়ে দিন শুরু করবেন না।
আরো পড়ুন : ত্বকের যত্নে পেঁপের ফেসপ্যাক
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন
ভালো জিনিসগুলোতে মনোযোগ দিন, তা যতই ছোট হোক না কেন। সারাদিনে বিভিন্ন বাধা আসবেই। চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলে ইতিবাচক কিছুর দিকে মনোযোগ দিন। ট্রাফিক আটকে গেলে আপনার প্রিয় পডকাস্ট শোনার জন্য অতিরিক্ত সময়ের ব্যবহার করুন। কোনো কিছু কেনার পরে তা অপ্রয়োজনীয় মনে হলে বরং তা দিয়ে নতুন কিছু তৈরি করে ফেলুন। এভাবে সব সময় ইতিবাচক ও কৃতজ্ঞ থাকুন।
হালকা থাকুন
এমনকি সবচেয়ে অন্ধকার বা সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতেও নিজেকে হালকা রাখুন। নিজেকে মনে করিয়ে দিন যে এই পরিস্থিতি সম্ভবত পরে একটি ভালো গল্প তৈরি করবে। মন হালকা করে এমন কিছু ভাবুন বা করুন। এটি ছোট্ট কোনো কাজ হলেও তা আপনাকে সাহায্য করবে।
ব্যর্থতাকে শিক্ষায় পরিণত করুন
ব্যর্থতাকে পাঠে পরিণত করার অর্থ হলো ব্যর্থতার দিকে মনোনিবেশ না করে নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া। ব্যর্থ হলে ভাবুন যে আপনি পরের বার আরও ভালো করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি একটি প্রকল্প পরিচালনা করতে ব্যর্থ হন তবে ভবিষ্যতের প্রকল্পগুলো আরও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করার জন্য তিনটি নতুন নিয়ম তৈরি করুন।
এস/ আই.কে.জে/