ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা ২০১১ সালে বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসটিকে স্বীকৃতি দেয়। এরপর থেকে প্রতিবছর ২৮শে জুলাই দিবসটি পালন করা হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ দিবসটি পালিত হচ্ছে।
রোববার (২৮শে জুলাই) ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস’ উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, হেপাটাইটিসজনিত কারণে বিশ্বে প্রতি বছর ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন মানুষ মৃত্যুবরণ করেন, যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। হেপাটাইটিস লিভার ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। তাই হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্য অর্জনে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস-২০২৪’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। ভাইরাল হেপাটাইটিস প্রতিরোধে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘এখনই সময় পদক্ষেপ নেওয়ার’ যা সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে এবং জনসাধারণকে সুলভে মানসম্মত স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার কল্যাণ (এইচএনপি) সেবা প্রদানের মাধ্যমে একটি সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল চালু নিয়ে যা বললেন সেতুমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমরা একটি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করে যুগোপযোগী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন নতুন হাসপাতাল, নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। সারাদেশে হাসপাতালগুলোর শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধিসহ চিকিৎসক, নার্স, সাপোর্ট স্টাফের সংখ্যাও বৃদ্ধি করেছি। গ্রাম পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারাদেশে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে, যা বাস্তবসম্মত এবং আমাদের সবার প্রচেষ্টায় তা অর্জন সম্ভব। হেপাটাইটিস নির্ণয়ে পরীক্ষা করুন, টিকা নিন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
এসি/ আই.কে.জে/