ছবি: সংগৃহীত
নব্বইয়ের দশকে ঢালিউডে নাম লেখান সালমান শাহ ও শাকিল খান। তারা কাছাকাছি সময়ে কাজ শুরু করেছেন। যে কারণে খুব কাছ থেকে সালমান শাহর সিনেমায় বেড়ে ওঠা দেখেছেন শাকিল খান। বর্তমানে তিনি সিনেমা থেকে দূরে। সালমান শাহর সেই সময়ের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে শাকিল বললেন, ‘তাকে শেষ করে দেওয়ার পেছনে সিনেমার মানুষেরাই দায়ী।’
গত শনিবার (৮ই নভেম্বর) সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘বিসিআরএ অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’–এ বিশেষ সম্মাননা গ্রহণ করেন একসময়ের জনপ্রিয় এ নায়ক। অনুষ্ঠানের মাঝে চিত্রশালা মিলনায়তনের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
এ সময় ঢালিউড সিনেমার অতীত ও বর্তমান সময়ের নানা প্রসঙ্গে কথা বলেন এই অভিনেতা। ‘কেন তিনি সিনেমা থেকে দূরে’, ‘সালমান শাহর হত্যা মামলা কীভাবে দেখেন’—এমন প্রশ্নের মুখে পড়েন এই অভিনেতা।
শাকিল খান বলেন, ‘সিনেমার কারণেই আমি দর্শকদের কাছে এখনো শাকিল খান। কিছু মানুষ আমাকে সেই কারণেই চেনেন। এই ফিল্মকে আমি এখনো ভালোবাসি। আমি এখনো সিনেমা করতে চাই। সিনেমা করব না, এটা কখনোই বলিনি। তবে সেটা অবশ্যই সুস্থধারায় হতে হবে। এখন আমি বলছি না সুস্থ ধারায় সিনেমা হচ্ছে না, ভালো ছবি হচ্ছে। কিন্তু একই প্রযোজকেরা খুব বেশি সিনেমা করছেন না।’
নব্বইয়ের দশকে একের পর সিনেমায় অভিনয় করে গেছেন। একাধিক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিলেও তারকা খ্যাতি নিয়ে কখনোই কিছু ভাবেননি। ‘এখন সিনেমা ব্যবসা করলেই সুপারডুপার হিট তকমা লেগে যাচ্ছে। একটি রিলিজ করলেই সুপারস্টার হয়ে যাচ্ছেন। সব সহজ হয়ে যাচ্ছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেও কখনো সুপারস্টার শব্দটি শুনতে পাইনি’, কথাগুলো বলেন শাকিল খান।
তিনি আরও বলেন, ‘অথচ ১৯৯৬–এ “এই মন তোমাকে দিলাম” সিনেমাটি ১১টি সিনেমার সঙ্গে মুক্তি পেয়ে তুমুল আলোচনায় আসে, ব্যবসাসফল সিনেমা। আমরা কিন্তু সুপারস্টার হতে পারিনি। দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছি। এখন দুটি সিনেমা করলে নামের আগে যোগ হয় সুপারস্টার। এটা আপনারাই বানাচ্ছেন।’
শাকিল খান ১৯৯৭ সালে সিনেমায় নাম লেখান। অন্যদিকে তার এক বছর আগেই সিনেমায় নাম লিখিয়ে আলোচনায় আসেন সালমান শাহ। শাকিল জানান, নব্বইয়ের দশকে কাছাকাছি সময়ে তারা সিনেমায় আসেন। অল্প সময়েই তিনি নিজের প্রতিভা দেখিয়েছেন। গুণী শিল্পী ছিলেন।
‘আমরা চলচ্চিত্রের মানুষ যারা ছিলাম, তারাই সালমান শাহকে শেষ করে দেওয়ার জন্য দায়ী। তাকে শেষ করে দেওয়ার পেছনে সিনেমার মানুষেরাই দায়ী। একজন মানুষকে কিন্তু ভালোভাবে বাঁচিয়ে রাখা যায়। একটা মানুষকে সারাক্ষণ টর্চার করলে সে ফ্রাস্ট্রেশনে পড়ে যান। সিনেমার মানুষেরাই তাকে ফ্রাস্ট্রেশনে ফেলেছিলাম। আমি দেখেছি বিভিন্ন সমিতি তাকে (সালমান শাহ) বয়কট করেছিল। দেশের বহু পরিচালক তাকে বয়কট করেছিলেন। শেষে আমি বলতে চাই, সত্যের বিচার হবে। আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। আইন বলে দেবে তার (সালমান শাহ) সঙ্গে কী হয়েছিল।’
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন