সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের আকাশে ইরানের শক্তি প্রদর্শন : ইরানে হামলায় আগ্রহী নয় যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৫৬ অপরাহ্ন, ১৫ই এপ্রিল ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

সিরিয়ার দামেস্কে গত ১ এপ্রিল ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলা ও জেনারেলদের হত্যার সমুচিত জবাব দিয়েছে তেহরান। গত শনিবার রাতে ইহুদিবাদী দেশটির আকাশে বৃষ্টির মতো ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইসলামী প্রজাতন্ত্র। এটিকে তেল আবিবের বিরুদ্ধে তেহরানের শক্তি প্রদর্শন বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ও সামরিক বিশেষজ্ঞরা। আর ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের দুই সদস্য জানিয়েছেন, তারা এমনভাবে হামলার পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন যাতে করে ইসরায়েলকে প্রতিরোধের পাশাপাশি কড়া সতর্কবার্তা দেওয়া যায়, একই সঙ্গে এড়ানো যায় যুদ্ধের আশঙ্কাও। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।

সরাসরি ইসরায়েলে হামলার সক্ষমতা রয়েছে ইরানের, এটি এখন পরিষ্কার হওয়ায় ইসরায়েলের উদ্বেগ ও আরও সতর্কতার ওপর জোর দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। 

কনস্যুলেটে হামলার পর থেকেই ইরানের নেতারা প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিলেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগে থেকেই প্রতিশোধের হুমকির কারণে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রস্তুত করতে পেরেছে।   

এ ধরনের বড় বিমান হামলার জেরে ইসরায়েল, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রকে বৃহত্তর যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নতুন করে যুদ্ধ এড়াতে চাইছেন।

কয়েক দশকের ছায়া যুদ্ধের পর শনিবারের হামলা ছিল ইসরায়েলের ওপর ইরানের প্রথম সরাসরি আক্রমণ। অবশ্য ইসরায়েলি নেতারাও এ ধরনের প্রতিশোধমূলক সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কা করছিলেন।

বাইডেন এরই মধ্যে ইসরায়েলি নেতাদের স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, ইসরায়েলকে রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেও ইরানে হামলার ব্যাপারে তার কোনো আগ্রহ নেই। শুধু তাই নয়, বাইডেন ও তার দল নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এড়াতে ইসরায়েলকে পরামর্শ দিচ্ছেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করেন, ইরানি বিমান হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফল হয়েছে। এটি কৌশলগত বড় বিজয়। যে কারণে এখন আর নতুন করে ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের প্রয়োজন পড়ে না। 

ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাকব নাগেল বলেন, ইসরায়েল ডেভিড স্লিং নামে একটি সিস্টেম ব্যবহার করেছে। এর মধ্যমে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র,  রকেট ও ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে গুলি করা হয়েছে। এছাড়া দূরপাল্লার সিস্টেমও ব্যবহার করা হয়েছে।  

মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, যুদ্ধবিমান থেকে ৭০টিরও বেশি বিস্ফোরক ড্রোনকে গুলি করা হয়েছে। এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইরান যে ৩০০টিরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, তা মার্কিন বিশ্লেষকদের আশঙ্কার সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিল। 

সেন্ট্রাল কমান্ডের সাবেক প্রধান জেনারেল ভোটেল বলেছেন, ইরান দেখিয়ে দিয়েছে, তার ভূখণ্ড থেকে ছোড়া অস্ত্র ইসরায়েলে পৌঁছাতে পারে। বিষয়টি নিয়ে তেল আবিবের সামরিক কৌশলবিদদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। এমনকি ইরান পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতার পথে রয়েছে।

আই.কে.জে/ 

ইসরায়েল

খবরটি শেয়ার করুন