ছবি: সংগৃহীত
নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মোক্ষম হাতিয়ার হতে পারে। যারা নিয়মিত যৌন সম্পর্কে মিলিত হন, তাদের দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির পরিমাণ অন্যদের তুলনায় বেশি। এমনটাই জানান, পেনসিলভেনিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। খবর বিবিসির।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে করা একটি সমীক্ষায় স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে যে, সপ্তাহে একাধিক বার মিলন করেন যারা, তাদের মধ্যে জীবাণু ও ভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতা বেশি।
ক্যালিফোর্নিয়া-সান ফ্রান্সিসকো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণাও একই দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। গবেষকদের মতে, যারা সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছেন, তারা অনেক বেশি সুস্থ রয়েছেন অন্যদের তুলনায়। গবেষণা বলছে, নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কের মধ্যে থাকলে শরীরে প্রায় ৩০ শতাংশ বাড়ে ‘আইজিএ’ নামক অ্যান্টিবডি। ফলে সর্দি-কাশির সমস্যা কমে অনেকটাই।
শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই নয়, হৃদ্যন্ত্র ভালো রাখতেও সহায়তা করে নিয়মিত শারীরিক মিলন। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে পাঁচদিন শরীরচর্চা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। নিয়মিত শরীরচর্চার সময় না পেলে যৌন মিলনই হয়ে উঠতে পারে শরীরচর্চার বিকল্প, মত বিশেষজ্ঞদের।
নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কের মধ্যে থাকলে শরীরে টেস্টোস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। ফলে নারী-পুরুষ দু’জনের ক্ষেত্রেই হাড়ের জোর বাড়ে। পেশিকে টানটান ও সতেজ রাখতেও সাহায্য করে যৌন-মিলন।
শারীরিক মিলনের সময়ে ডোপামিন, এন্ডরফিন ও সেরোটোনিনের মতো ‘ফিল গুড হরমোন’ ক্ষরিত হয়। এসব হরমোন রক্তের সঙ্গে মিশে ব্যথা-বেদনা দূর করতে সাহায্য করে। ঋতুস্রাবকালীন যন্ত্রণা, মাইগ্রেনের মতো অসুখকেও অনেকটা কাবু করা যায় মিলনের প্রভাবে।
শারীরিক সম্পর্ক স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের ক্ষরণ কমায়। ফলে মানসিক চাপ কমে। ঘুম ভালো হয়। শারীরিক ঘনিষ্ঠতা রক্ত সংবহন বাড়িয়ে তোলে। ফলে ত্বকে অক্সিজেন সরবরাহ হয় বেশি।
যৌন-মিলনের ফলে যেটুকু ঘাম হয়, তার মাধ্যমে শরীরের টক্সিনও দূর হয়। এসব কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়ে। এ ছাড়া সঙ্গমের ফলে প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমে, বিভিন্ন গবেষণায় এ কথা দাবি করা হয়েছে।
আরএইচ/এইচ.এস
খবরটি শেয়ার করুন