ছবি : সংগৃহীত
অন্দরের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে চিন্তায় থাকেন অনেকেই। মনে মনে ভাবতে থাকেন পরিচ্ছন্নতার ‘গোপন’ সূত্র আছে কি? এটির সব চাইতে ‘গোপন’ সূত্র হলো অন্দরের কাজগুলো তিনটি ভাগে ভাগ করে নিন। কিছু কাজ করতে হবে রোজ, কিছু কাজ সপ্তাহে এক দিন, কিছু কাজ আবার মাসে একবার করলেই চলে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের সহায়তা নিলে কাজগুলো সহজ হবে।
দৈনন্দিন কাজ
বিছানা, আসবাবের বাইরের অংশ, ঘরের মেঝে ও ডেকোরেশন পিস পরিষ্কার করুন রোজ। নইলে ধুলার আস্তর পড়ে যাবে। আসবাবের জন্য নরম, সুতি কাপড়ই যথেষ্ট। তবে খাঁজকাটা নকশা থাকলে উপযুক্ত আকারের ব্রাশ কাজে লাগান। পানিরোধী উপকরণে তৈরি না হলে আসবাবে পানি বা তরল পরিষ্কারক ব্যবহার করবেন না। আপনার বাড়ির বই রাখার জায়গাটি একেবারে খোলা হলে বইয়ের ওপরকার ধুলাও সরিয়ে দিতে হবে রোজ। ফুলদানিতে ফুল রাখার আগে সেটিও পরিষ্কার করে নিন।
আরো পড়ুন : ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তোলার উপায় কী?
আরও যা
১. রান্নাঘরে কিচেন চিমনি বা এগজস্ট ফ্যান রাখুন।
২. পর্দা ও ম্যাট–জাতীয় উপকরণ পরিষ্কার করতে পারেন মাসে একবার। বাতাসে ধুলাবালুর মাত্রা বেশি বলে কার্পেট ও ভারী পর্দা ব্যবহার না করাই ভালো। ভারী পর্দা ব্যবহার করলেও বাইরের দিকে পাতলা আরেকটি হালকা পর্দা দিয়ে রাখুন, সেটি ময়লা হলে সহজেই ধুয়ে ফেলা যাবে।
৩. কার্পেট রাখা হলে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করুন নিয়মিত।
৪. প্রতি মাসে সব বই নামিয়ে পরিষ্কার করুন।
৫. ফ্যান পরিষ্কার করুন দুই সপ্তাহে একবার।
৬. সোফা ঢেকে রাখলে ধুলা জমে না।
৭. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজনে লম্বা হাতলযুক্ত ঝাড়ু ও ছোট মই কাজে লাগান।
৮. আসবাব পুরোনো দেখালে পলিশ করিয়ে নিতে পারেন।
৯. নরম কাপড় দিয়ে ওভেন পরিষ্কার করুন।
সাপ্তাহিক কাজ
আয়না, জানালা-দরজার কাচ এবং জানালা বা বারান্দার গ্রিল পরিষ্কার করুন সপ্তাহান্তে। আয়না ও কাচ পরিষ্কার করার জন্য বাজারে আলাদা স্প্রে–জাতীয় পরিষ্কারক পাওয়া যায়। এগুলো স্প্রে করে নিয়ে নরম স্পঞ্জ দিয়ে আলতোভাবে ঘষে এরপর নরম কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।
১. দেয়ালসজ্জার উপকরণগুলো পরিষ্কার করুন।
২. ঘরের ঝুল পরিষ্কার করে ফেলুন। ঝুল ঝাড়ার সময় আসবাব ও অন্দরের অন্যান্য উপকরণ ঢেকে রাখুন।
৩. রান্নাঘরের পরিচ্ছন্নতার জন্যও একটি দিনকে কাজে লাগান।
৪. দেয়ালের টাইলস মুছতে নরম স্পঞ্জ ও তরল সাবান ব্যবহার করুন।
৫. শোকেসে তুলে রাখা সামগ্রীও সপ্তাহান্তে পরিষ্কার করুন।
এস/ আই.কে.জে/