ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সমাধি পবিত্র রওজা শরীফ জিয়ারতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে সৌদি আরব। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে এখন থেকে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরীফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। সেই সঙ্গে বছরে একবারের বেশি রওজা শরীফ পরিদর্শন করা যাবে না।
শুক্রবার (১৫ই নভেম্বর) সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এক্স পোস্টে এ তথ্য জানায়।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় বলা হয়, রওজা শরীফে ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও অনিয়ম কমানোর লক্ষ্যে এই নিয়ম চালু করা হয়েছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া রওজা শরীফে প্রবেশ করা যাবে না। আগের মতো অনুমতি ছাড়া প্রবেশের বিষয়টি আর বৈধ থাকবে না।
এ ছাড়া জিয়ারতের সময় এক ঘণ্টায় সীমিত রাখা হবে। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো অপেক্ষার সময় কমানো এবং ভিড় এড়িয়ে জিয়ারতকারীদের জন্য একটি সহজ ও সুশৃঙ্খল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা।
নতুন নির্দেশনার আওতায় রওজা শরীফ জিয়ারতের জন্য বছরে একবারের বেশি সুযোগ পাবেন না মুসল্লিরা। এই নিয়মটির মাধ্যমে বৃহত্তর সংখ্যক মুসলিমকে রওজা শরীফ জিয়ারতের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সৌদি সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রায় ১ কোটি মুসলিম রওজা জিয়ারত করেছেন, যা গত বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মতে, বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ ও ভ্রমণ সহজলভ্য হওয়ায় রওজা শরীফ জিয়ারতকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের জন্য রওজা শরীফ জিয়ারত একটি পবিত্র আকাঙ্ক্ষা। তবে অতিরিক্ত ভিড় এবং প্রশাসনিক জটিলতা মোকাবিলা করতে গিয়ে সৌদি সরকার বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। নতুন এই নির্দেশনা সেই সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলছে, আমরা চাই প্রত্যেক মুসলিম যেন সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে রওজা শরীফ জিয়ারত করতে পারেন। এই নিয়ম শুধু ভিড় কমানো নয়, বরং জিয়ারতের অভিজ্ঞতাকে আরও স্মরণীয় করার জন্য।
সৌদি সরকারের এই নতুন নির্দেশনা মুসলিম বিশ্বের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। অনেকে এ নিয়মকে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে কেন বছরে একবারের বেশি জিয়ারতের সুযোগ সীমিত করা হলো।
বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের জন্য রওজা শরীফ জিয়ারত এক অনন্য অনুভূতির জায়গা। এই নতুন নিয়ম নিয়ে যেকোনো সমন্বয় ও পরিবর্তন যেন তাদের জন্য সহজ এবং গ্রহণযোগ্য হয়, সেদিকে সৌদি সরকারের নজর থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ওআ/ আই.কে.জে/