ছবি: সংগৃহীত
রাতের আলোর ঝলকানিতে সুরের ঝংকার তুললেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলি খান। কাওয়ালিতে শ্রোতারা যেমন ছিলেন মন্ত্রমুগ্ধ, তেমনি হিন্দি চলচ্চিত্রের মেলোডি গানেও ছুঁয়ে দেন মন। সুরের জাদুকরের কণ্ঠের সঙ্গে তালে তালে দোলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়াম। গ্যালারি থেকে মাঠ, উত্তর থেকে দক্ষিণ– হাজারো কণ্ঠ মিলেমিশে একাকার।
‘ওরে পিয়া, মেরে রাশকে কামার, আফরিন আফরিনে’র মতো গানে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে হাজারো সংগীত প্রেমিদের মাতিয়ে রাখেন। মূলত শহীদ পরিবার এবং আহত ব্যক্তিদের সহায়তায় সংগ্রহ করা হচ্ছে তহবিল। সেই সাধু উদ্যোগেই ছিল এই কিংবদন্তীর ছোট্ট অবদান। এ ছাড়াও কনসার্টে আলো ছড়িয়েছেন দেশের প্রথম সারির ব্যান্ড- আর্টসেল, চিরকুট ও সিলসিলা।
রাত পৌনে ১০টায় মঞ্চে উঠেন উপমহাদেশের কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান। তুনা জানে দিয়ে শুরু, এরপর মেরে রাশকে কামার, আফরিন আফরিন, মাস্ত কালান্দার। একের পর এক সব বিখ্যাত গান গেয়েছেন। সুরের মূর্ছনায় তখন বুদ হয়ে যান আর্মি স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরা। একটি-দু’টি নয় একে একে পরিবেশন করেছেন ১২টি বিখ্যাত গান।
একজন নারী দর্শক বলেন, ‘আমার কাছে আজকের রাতটি যাদুর মতো মনে হয়েছে। রাহাত ফতেহ আলী খানের কোনো তুলনা হয় না।’
একজন কিশোর দর্শক বলেন, ‘এতদিন ইন্টারনেটে গান শুনেছি। তবে সরাসরি গান শোনার অভিজ্ঞতা দারুণ হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সুন্দর ঝলমলে চুলের রহস্য ফাঁস করলেন ক্যাটরিনা
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতের পরিবার ও আহতদের পাশে দাঁড়াতে শনিবার আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয় ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ ব্যানারে ‘ইকোস অব রেভোল্যুশন’ কনসার্ট। চ্যারিটি কনসার্টে মঞ্চ মাতান এই সুরের যাদুকর। কিংবদন্তী এই শিল্পীর গান সরাসরি উপভোগ করতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল স্টেডিয়াম।
‘ইকোস অব রেভোল্যুশন’ যোগ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক উপদেষ্টারা। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার উপস্থিত ছিলেন।
এসি/ আই.কে.জে/