সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাকরির পেছনে না ঘুরে বরই চাষে স্বাবলম্বী যুবক আব্দুর রহিম

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:১৬ অপরাহ্ন, ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

শুধু চাকরির পেছনে না ঘুরে কীভাবে আত্মনির্ভরশীল হওয়া যায়, এর জন্য বাবার সঙ্গে বরই চাষ শুরু করেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের কিস্তাকাঠির যুবক আব্দুর রহিম সিকদার। তিনি বাবার সঙ্গে ৩০০ শতাংশ জমিতে বরই চাষ করে সফল হয়েছেন। তাতেই এখন আত্মনির্ভরশীলতার পথে পা বাড়াচ্ছেন।

সঠিক পরিচর্যায় ভালো ফলন হওয়ায় প্রতি বছর জমির পরিমাণ বাড়িয়ে এখন উৎপাদিত বরই বাজারজাত করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। বর্তমানে দুটি বাগানে আপেল কুল, বাউকুল, বল সুন্দরী, নারিকেল সুন্দরী, কাশ্মিরী, থাই টকসহ ৬ জাতের বরই আছে। আব্দুর রহিম জানান, বাগানের বরই খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু। 

আশেপাশের পাইকারেরা বাগান থেকে কিনে নেন। তার বাগানে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কোনো ক্ষতি না হলে ৬-৭ লাখ টাকার বরই বিক্রি করা যায়।

কাওসার নামে এক বরই ক্রেতা বলেন, ‘আমি বরিশাল থেকে বরই কিনতে এসেছি। তাদের বরই খুবই সুস্বাদু ও দামে কম। ২ বছর ধরে এখান থেকেই বরই কিনি।’

পোনাবালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন খান বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে আব্দুর রহিম ছাড়াও অনেকে বরই চাষ করেছেন। তারা সফল হয়েছেন। 

আরো পড়ুন: ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন করে বেকারত্ব দূর

তাদের দেখাদেখি অনেকেই বরই চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। দূর-দূরান্ত থেকে পাইকাররা এসে কিনে নেন। অনেকে বাগান দেখতে এসেও বরই কিনে নিয়ে যান।’

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা বরই চাষিদের প্রশিক্ষণ, সার, সেচ ব্যবস্থাপনাসহ উন্নত জাত সম্পর্কে পরামর্শ দিচ্ছেন। 

আমরা চাষিদের উৎসাহিত করছি। লাভজনক হওয়ায় শিক্ষিত তরুণ কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়ে বরই চাষ করছেন। আশা করছি বরই চাষের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থান বাড়বে। এতে আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।’

এসি/ আই. কে. জে/ 


বরই চাষ আব্দুর রহিম

খবরটি শেয়ার করুন