বৃহস্পতিবার, ২৪শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৯ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া *** ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কিনতে রিটার্ন লাগবে না *** ঝুঁকিপূর্ণ সব ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইসিকে চিঠি *** বাংলাদেশ ব্যাংকে নারীদের শর্ট স্লিভ ড্রেস ও লেগিংস নিষেধ, পরতে হবে শালীন পোশাক-হিজাব *** সচিবালয়ে ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা *** জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিলেন বিশ্ব আদালত *** প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিমানবাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ *** এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষা একই দিনে হচ্ছে না, নতুন রুটিন প্রকাশ *** বাগমারা বিদ্যালয়ের নাম বদল, নতুন নাম শহীদ জিয়া বিদ্যালয় *** মতপার্থক্য থাকলেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্য আরও দৃশ্যমান করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

যেসব যৌন রোগের চিকিৎসায় অবহেলা করা উচিত নয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:১৯ অপরাহ্ন, ৭ই জুলাই ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

যৌনবাহিত রোগের বিষয়ে মানুষের সচেতনতা কম। আবার লজ্জা–সংকোচের কারণে অনেক পুরুষ চিকিৎসা নিতে দেরি করেন। এ থেকে ভবিষ্যতে বন্ধ্যত্ব ও নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। পরবর্তী প্রজন্মের ওপরও এর প্রভাব পড়তে পারে। এমন কয়েকটি রোগ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

গনোরিয়া

চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দিদারুল আহসান এ প্রসঙ্গে জানান, ‘বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে সাত কোটি। চিকিৎসা না করালে পুরুষের ক্ষেত্রে শুক্রনালি বন্ধ এবং উপশুক্রাশয় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলে সন্তানের বাবা হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে পড়ে। সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হলে প্রস্টেট গ্রন্থিতে প্রদাহ হতে পারে। এতে মূত্রনালিতে সমস্যা দেখা দেয়।’ 

তিনি বলেন, ‘যেমন প্রস্রাব করতে সমস্যা, প্রস্রাব বাধাগ্রস্ত বা ব্যথা হয়। এতে মূত্রনালি সংকীর্ণ হয়ে যেতে পারে। নারীর ক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসা না হলে ডিম্বনালির ছিদ্র বন্ধ, বন্ধ্যত্বের সমস্যা ও মূত্রাশয়ে প্রদাহ হয়। অন্তঃসত্ত্বা নারীর প্রসবের সময় গর্ভের শিশুর চোখ আক্রান্ত হতে পারে। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে হাঁটু বা গোড়ালিতে পুঁজ জমে ফুলে যেতে পারে।’

সিফিলিস

ডা. দিদারুল আহসান বলেন, ‘এ রোগে উপযুক্ত চিকিৎসা না নিলে দীর্ঘমেয়াদি সিফিলিসে পরিণত হতে পারে। এর থেকে স্নায়ুতন্ত্র ও হৃদ্‌যন্ত্রের সিফিলিসের জটিলতাও দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত মায়ের মাধ্যমে গর্ভস্থ শিশুর দেহে এ রোগের জীবাণু প্রবেশ করতে পারে এবং এ ক্ষেত্রে গর্ভপাতও ঘটতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির হৃদ্‌যন্ত্র ও মস্তিষ্কে গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।’


শেনকরোয়েড

ডা. দিদারুল আহসান জানান, ‘উপযুক্ত চিকিৎসা না হলে এর থেকে অনেক জটিলতা সৃষ্টি হয়। যেমন আক্রান্ত ব্যক্তির কুঁচকির লসিকাগ্রন্থি আক্রান্ত হয়। যা একপর্যায়ে ফেটে গিয়ে নিঃসরণ ঘটতে পারে। দেখা দিতে পারে ফাইমোসিস বা প্যারাফাইমোসিস। এতে পুরুষাঙ্গের ছিদ্র সরু হয়ে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়তে পারে।’

জেনিটাল হারপিস

যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ দিদারুল আহসান বলেন, ‘এটি ভাইরাসজনিত রোগ। একবার হলে কখনো ভালো হয় না। দেখা দেয়, আবার চলে যায় এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে আবার দেখা দেয়। মায়ের এ রোগ থাকলে প্রসবের সময় শিশু আক্রান্ত হতে পারে। এমনকি শিশুর চোখও আক্রান্ত হতে পারে। গর্ভপাত হতে পারে। মায়ের জরায়ুমুখে ক্যানসারও হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘কাজেই যৌনাঙ্গের ত্বকে কোনো ধরনের সংক্রমণ বা অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নিন।’

যৌন রোগ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন