ছবি: সংগৃহীত
বলিউডের চিরসুন্দরী বলা হয় অভিনেত্রী রেখাকে। প্রায় ১৮০টিরও বেশি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। সিনেমায় যেমন আলোচনায় ছিলেন, তেমনি ব্যক্তিগত জীবনের জন্য তিনি বরাবরই ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। খবর এনডিটিভির।
১৯৯০ সালে দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ আগরওয়ালের সঙ্গে পরিচিতি এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। দীর্ঘ তারকাজীবনের পর এ যেন ছিল স্থায়ীভাবে ঘর বাঁধার মুহূর্ত। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।
বহু বছর পর সিমি গারেওয়ালের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন রেখা। তিনি বলেন, ‘এটা প্রেম ছিল না। মুকেশকে আমার অপরিচিতই মনে হয়েছিল।’
লন্ডনে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েই তিনি নাকি বুঝতে পারেন তাদের জীবন ও স্বভাবের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক। তাই কয়েক মাসের মধ্যেই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে পৌঁছান তারা। যদিও রেখা দাবি করেন, ‘ডিভোর্সের কথা আমার পক্ষ থেকে আসেনি, মুকেশই প্রথমে বিচ্ছেদের কথা বলেছিলেন।’
বিয়ের কয়েক মাস পর ১৯৯০ সালের ২রা অক্টোবর আত্মহত্যা করেন মুকেশ। সে সময় অভিনেত্রী ছিলেন লন্ডনে। সে সময় থেকেই রেখার জীবন ঝড়ের মুখে পড়ে। গণমাধ্যম ও সমাজের একাংশ তাকে দোষারোপ করতে শুরু করে। কেউ কেউ তাকে ‘ডাইনি’ বলেও আখ্যা দেন।
শেষ পর্যন্ত রেখা এক সাক্ষাৎকারে অংশ নেন, যার শিরোনাম ছিল ‘আমি মুকেশকে হত্যা করিনি’। এতে তিনি সত্যিটা পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছিলেন। তবু সমালোচনা থামেনি। যেমন সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর রিয়া চক্রবর্তীকে ঘিরে হয়েছিল তীব্র বিচার, সেরকম পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন রেখা।
২০০৪ সালে সিমি গারেওয়ালের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রেখা বলেন, সেটাই ছিল তার জীবনের মোড় ঘোরানো সময়। তার ভাষায়, ‘এটা যতই ভয়ঙ্কর শোনাক না কেন, আমার কাছে ওটাই জীবনের সেরা শিক্ষা ছিল। আমি নিমিষে বুঝে গিয়েছিলাম মানুষ আসলে কী।’
মুকেশের মৃত্যুর পর নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে গেছেন রেখা। তিনি বলেছিলেন, ‘প্রথমে ছিল প্রবল ধাক্কা, তারপর অস্বীকার। এরপর এলো প্রচণ্ড রাগ। বারবার বোঝার চেষ্টা করেছি, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। আর শেষে, অবশ্যই মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।’ সেই ঘটনার পর থেকে রেখা আর কখনো বিয়ে করেননি।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন