গত মঙ্গলবার (৬ই মে) রাতে পাকিস্তানের ছয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। জবাবে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের। গতকাল বুধবার (৭ই মে) দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে নিজেদের বিচার-বিবেচনা অনুযায়ী ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্ণ অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে।
তবে কি দুই দেশের যুদ্ধটা শেষ পর্যন্ত লেগেই গেল? বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) এ ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। আমিরাতের সঙ্গে দুটি টি-টোয়েন্টি খেলতে ১৪ই মে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। সেখান থেকেই তাদের পাকিস্তানে যাওয়ার কথা লাহোর ও ফয়সালাবাদে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে। কিন্তু বর্তমান যুদ্ধাবস্থায় বিসিবি পাকিস্তানে দল পাঠাবে কী না, সেই প্রশ্নটাই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদ এবং আরও তিন-চারজন পরিচালক বুধবার সন্ধ্যায় এ নিয়েই জরুরি সভায় বসেছিলেন ঢাকার মিরপুরের বোর্ড কার্যালয়ে। তবে সভায় পাকিস্তান সফর এখনই স্থগিত করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিসিবি চাইছে আরও কয়েক দিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে।
সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানে ভারতের আক্রমণকে এখন পর্যন্ত বিসিবি দেখছে পেহেলগামে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২৬ পর্যটক হত্যার ঘটনার ‘একমাত্র’ প্রতিশোধ হিসেবে। এটি শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত যুদ্ধে রূপ নেবে না এবং পরিস্থিতি বাংলাদেশ দলের পাকিস্তানে যাওয়ার আগেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে তাদের আশা। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তানে খেলতে যেতে কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করে বোর্ড। তবে পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ থাকলে বিসিবি হয়তো পাকিস্তানে দল না পাঠানোরই সিদ্ধান্ত নেবে।
পাকিস্তানে আপাতত দল না পাঠানো হলে আমিরাত সফরটি হবে কী না, সেটিও একটি প্রশ্ন। দুই টি-টোয়েন্টির এ সিরিজের সূচিই যে করা হয়েছিল বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর মাথায় রেখে! পাকিস্তানে দল যাবে দুবাই হয়ে, কাজেই যাওয়ার পথে সেখানে দুটি ম্যাচ খেলাই যায়—এ ছিল ভাবনা। তবে যদি পাকিস্তান সফরই না হয়, সে ক্ষেত্রে দুবাইয়ে মে মাসের প্রচণ্ড গরমের মধ্যে সিরিজ না খেলে পরে কোনো এক সময়েও খেলা যেতে পারে বলে মনে করেন কেউ কেউ।
পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে বিসিবির সর্বশেষ অবস্থান জানতে চাইলে বুধবার রাতে ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ১০ই মে পর্যন্ত পাকিস্তানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব। এরপর আবার বসব এবং পাকিস্তানে দল পাঠানো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’ বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সঙ্গে বিসিবি যোগাযোগ রাখছে বলেও জানান তিনি।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন