ছবি: সংগৃহীত
ন্যাশনাল হেরাল্ড অর্থ পাচার মামলায় জ্যেষ্ঠ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অভিযোগ সোনিয়া, রাহুলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করা একটি নতুন এফআইআরের অংশ। খবর এনডিটিভির।
দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা (ইকোনমিক অফেন্সেস উইং) এ মামলা করে। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এই মামলায় অর্থ পাচারের বিষয়টি তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩রা অক্টোবর এফআইআর করে দিল্লি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে অনুযায়ী, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৪০৩ (অসৎভাবে সম্পত্তি আত্মসাৎ), ৪০৬ (বিশ্বাসভঙ্গের শাস্তি), ৪২০ (প্রতারণা) ধারায় মামলা হয়েছে। এফআইআরে রাহুল, সোনিয়া ছাড়াও নাম রয়েছে কংগ্রেস নেতা সুমন দুবে, শ্যাম পিত্রোদার।
সেই সঙ্গে কিছু সংস্থা ও সংগঠনের নামও রয়েছে এফআইআরে। যেমন ইয়ং ইন্ডিয়ান, ডটেক্স মার্চেন্ডাইস লিমিটেড, ডটেক্সের প্রোমোটার সুনীল ভান্ডারি, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নাল লিমিটেড ও অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন।
ইডি গত এপ্রিলে চার্জশিট জমা করেছিল আদালতে। সেখানেও নাম রয়েছে সোনিয়া, রাহুলসহ বাকিদের। সেই চার্জশিট এখনো গ্রহণ করেননি আদালত। আগামী ১৬ই ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি। কংগ্রেস ইডির তদন্ত নিয়ে আগেই আঙুল তুলেছে। অভিযোগ করেছে, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই এসব করা হচ্ছে।
জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা আগাগোড়াই কংগ্রেস পরিচালিত। ২০০৮ সালে ওই ইংরেজি দৈনিকের প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে এটির ডিজিটাল সংস্করণ শুরু হয়।
বিজেপি নেতা সুব্রামানিয়াম স্বামী ন্যাশনাল হেরাল্ড–এর আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলা করেছিলেন ২০১২ সালে। তার অভিযোগ ছিল, গান্ধী পরিবার কংগ্রেস দলের তহবিল ব্যবহার করে এজেএল সংস্থার (যারা ওই পত্রিকার মালিক) কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করেছে।
স্বামীর অভিযোগ, এজেএলের ৫ হাজার কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি ইয়ং ইন্ডিয়ান নামের এক সংস্থা কিনে নেয় মাত্র ৫০ লাখ টাকায়। সেই ইয়ং ইন্ডিয়ান সংস্থার মোট শেয়ারের ৭৬ শতাংশের মালিক সোনিয়া ও রাহুল। দুজনেরই শেয়ার ৩৮ শতাংশ করে। বাকি ২৪ শতাংশ শেয়ার ছিল তৎকালীন কংগ্রেস কোষাধ্যক্ষ মোতিলাল ভোরা, অস্কার ফার্নান্দেজ, সুমন দুবে ও শ্যাম পিত্রোদার নামে।
অধিগ্রহণের ফলে এজেএলের ৯০ কোটির দেনা যেমন ইয়ং ইন্ডিয়ানের ওপর বর্তায়, তেমনই দিল্লি, মুম্বাই, লক্ষ্ণৌ, পাটনা, ভোপাল, ইন্দোরসহ বিভিন্ন শহরে থাকা স্থাবর সম্পত্তির অধিকারও চলে আসে তাদের হাতে। অধিগ্রহণের পরই কংগ্রেস এজেএলের অনাদায়ী ৯০ কোটি ঋণ মওকুফ করে দেয়।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন