ছবি: সংগৃহীত
লালমনিরহাটে আগাম জাতের আলু চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষাণ-কৃষানীরা। জেলা সদরের বেশ কিছু স্থানের উচুঁ জমিতে আলুর পরিচর্যা চলছে। ক্ষেতগুলোতে গাছ বেড়ে উঠে সবুজ রং ধারণ করছে। স্বল্প সময়ে উৎপাদন ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায়, আগাম আলু চাষে এখানকার কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।
উত্তরবঙ্গের এ জেলার বেশ কিছু স্থানের জমি উচুঁ হওয়ায় আগাম হাইব্রীড জাতের আমন ধান কাটার পরপরই নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আগাম জাতের আলু লাগানো শুরু হয়।
জেলা সদরের কৃষক আব্দুল মজিদ (৬০) গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতি বিঘায় ৮-১০ মণ বীজ লাগে আলু রোপণের জন্য। রোপণের ৫০-৬০ দিনের মধ্যে আলু পাওয়া যায় বিঘায় ৪৫ থেকে ৬০ মণ পর্যন্ত। তিনি আরো বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার কীটনাশকসহ বীজের দাম বেড়েছে। একই সাথে শ্রমিকরা তাদের দিনমজুরি বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে এবার আলুর উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে লাভ কম হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে।
লালমনিরহাট সদরের বড়বাড়ি বাজারে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী জাহিদ ফার্টিলাইজারের স্বত্বাধিকারী মো. জাহিদ হোসেন জানান, প্রতিবছর ৩ থেকে ৫ একর জমিতে আলু চাষাবাদ করে থাকেন তিনি। প্রতি একর জমিতে আলু চাষ করতে ৬০০-৭০০ কেজি বীজ আলুর দরকার হয়। এক একর জমিতে আলু আবাদ করতে ১২০-১৫০ কেজি ইউরিয়া, ২০০ কেজি টিএসপি, ২৫০ কেজি এমওপি, ৪০ কেজি জিপসাম এবং ৫-৬ কেজি দস্তা সার প্রয়োজন হয়। তবে এ সারের পরিমাণ জমির অবস্থাভেদে কমবেশি হতে পারে।
সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক আজিত হাসান বলেন, আগাম আলুর রোগ বালাই কম হয়। সেই সাথে বাজারে ভালো দামও পাওয়া যায়। আমি এ বছর ১ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি ভালো দামের আশায়।
আরও পড়ুন: ফুলকপি চাষে স্বাবলম্বী আসাদুল্লাহ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. সাইফুল আরিফিন জানান, জেলার প্রায় ৫০ ভাগ আলুই উৎপাদন হয়ে থাকে লালমনিরহাট সদর উপজেলা থেকে। এ জেলার মাটি আলু চাষের উপযুক্ত। আলু চাষের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিতে উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী অফিসাররা মাঠে কাজ করছেন। চলতি বছরে এ জেলায় ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষাবাদ করা হবে। এবার প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় ২৯ টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রত্যাশা করছে কৃষি বিভাগ।
এসি/ আইকেজে