ছবি: সংগৃহীত
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান রমজানের আগে মসজিদে ইফতার নিষিদ্ধ করার একটি আদেশ জারি করেছেন। এটি অস্থায়ীভাবে ১১ই মার্চ থেকে শুরু হবে এবং ৯ই এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে।
সৌদি আরবের ইসলামি বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত ২০শে ফেব্রুয়ারি একটি আদেশে রমজান মাসে মসজিদের কর্মচারীদের অনুসরণ করার জন্য নির্দেশনা জারি করেছে।
এতে মন্ত্রণালয় ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের ইফতারের আয়োজনের জন্য আর্থিক অনুদান সংগ্রহের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মসজিদের অভ্যন্তরে ইফতার আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মন্ত্রণালয়টি।
আদেশে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ইমাম এবং মুয়াজ্জিনরা রোজাদারদের এবং অন্যদের জন্য ইফতার প্রকল্পের জন্য আর্থিক অনুদান সংগ্রহ করবেন না। নোটিশে মসজিদের অভ্যন্তরে ইফতারের সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে আপোস করার বিষয়গুলি উত্থাপন করে, ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে মসজিদের আঙ্গিনায় এই আয়োজনের তদারকি করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং ইফতার সমাপ্তির পরপরই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার জন্য তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে উদ্বেগের কারণে মসজিদের ভিতরে ইফতারের আয়োজন করা উচিত নয়, তাই অস্থায়ী কক্ষ বা তাঁবুর ব্যবহার না করে মসজিদের আঙ্গিনায় একটি উপযুক্ত জায়গা তৈরি করা উচিত এবং সেখানে ইফতার করা উচিত।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে মালয়েশিয়া ভ্রমণে রেকর্ড করেছেন বাংলাদেশিরা
সৌদি আরবকে ইসলামি দুনিয়ার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ধরা হয়। তাহলে এই পবিত্র মাসে, মসজিদগুলিতে এতদিন ধরে চলে আসা এই প্রথার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে কেন?
সৌদির ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মসজিদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে উদ্বিগ্ন তারা। প্রতি বছর দেখা যায়, ইফতারের কারণে মসজিদের ভিতরের অংশ নোংরা হয়ে গিয়েছে। এই কারণেই এই নতুন নির্দেশ জারি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়া-সহ কোনও গণমাধ্যমেই নামাজ সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে মন্ত্রণালয়টি। তাই নামাজের সময় মসজিদ প্রাঙ্গনে কোনও ধরনের ক্যামেরা নিয়েই প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। আগত জনতার কাউকে নামাজের ছবি তুলতে দেখা গেলে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্র: ডব্লিইউআইওএন, লাইভমিন্ট
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন