ছবি : সংগৃহীত
বাজারে গেলেই এখন চোখে পড়বে নানা আকারের কদবেল। নারী ও শিশুদের কাছে বেশ প্রিয় ফলটি। শক্ত খোলসযুক্ত ফলের ভেতরে ধূসর রঙের আঠালো শাঁস এবং ছোট সাদা বীজ থাকে। টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, স্বল্প পরিমাণে লৌহ, ভিটামিন বি১ ও ভিটামিন ‘সি’ বিদ্যমান। কথায় আছে, ‘কতবেল খেলে ওষুধের খরচ কমে। কারণ কদবেলের বহু পুষ্টিগুণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হেলাফেলার এই কদবেল কিডনি সুরক্ষিত রাখতেও সাহায্য করে। কদবেলের আছে নানা পুষ্টিগুণ। যা কাঁঠাল ও পেয়ারার প্রায় সমান। আমলকি ও আনারসের চেয়ে চার গুণ বেশি এবং পেঁপের চেয়ে দ্বিগুণের একটু কম। তাহলে জানি কদবেল খাওয়ার উপকারিতা-
লিভার ও হার্টের জন্য উপকারি
লিভার ও হার্টের জন্য বেশি উপকারি হলো কদবেল। এর মধ্যে যে ট্যানিন থাকে তা দীর্ঘদিনের ডায়রিয়া ও পেট ব্যথা ভালো রাখতে সাহায্য করে। কলেরা ও পাইলসেরও প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য ও আমাশায় কদবেল বেশ উপকারি। পেপটিক আলসারে কদবেল ভালো কাজ করে।
আরো পড়ুন : ত্বকের বয়স কমান মাত্র পাঁচ অভ্যাসে!
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
কদবেল রক্ত পরিষ্কার করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রক্তস্বল্পতা দূর করতেও এর জুড়ি মেলা ভার। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, স্নায়ুর শক্তি বাড়ায়। নারীদের হরমোনের অভাব সংক্রান্ত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে বলেও বিশেষজ্ঞরা বলেন।
বদহজম দূর করে
বিশেষজ্ঞদের মতে, কদবেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ভিটামিন ‘সি’। যা নিয়মিত খেলে দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য ও আমাশয় নিরাময় হয় সহজেই। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য দারুণ উপকারি এই ফল। নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
যেভাবে কদবেল মেখে খাবেন
পাকা কদবেলের ভেতরে অংশ বের করে ভালোমতো চটকে নিন। এরপর তাতে দিন লবণ, বিট লবণ ও মরিচের কুঁচি। চাইলে ধনেপাতা দিতে পারেন। ব্যস! হয়ে গেলো লোভনীয় কদবেল মাখা। বাড়ির সবার জিভে জল এনে দেবে এই কদবেল মাখা। তো দেরি কেন, আজই ট্রাই করুন।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার জন্য লেখা হয়েছে। জটিল রোগ থাকলে কদবেল খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
এস/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন