ছবি: সংগৃহীত
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবারের মৌসুমে আলুর অতিরিক্ত উৎপাদন হওয়ায় কুমিল্লার ১৭ উপজেলায় আলু চাষিদের আনন্দের মাত্রাটাও অনেক বেশি। উন্নত জাতের আলু আবাদ করে বেশি ফলন পেয়েছেন তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, আবহাওয়া ভালো ও বন্যায় চরের কৃষি জমিতে পলি জমার কারণে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। পুরো জেলায় চলতি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ২৫৪ হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত চাষ হয়েছে ৮ হাজার পাঁচশত দশ হেক্টর জমিতে।
কৃষকরা বলছেন, জমি থেকে আলু তুলতে শ্রমিকদের খরচ বহন করতে হিমশিম খেতে হয়। এছাড়া জেলার বাইরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় স্থানীয় মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে আলু বিক্রয় করতে হয়। ফলে কৃষকের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগী আলু ব্যবসায়ীরা।
চান্দিনা এলাকার আলু চাষি মাহফুজ আহমেদ বলেন, “দুই বিঘা জমিতে ৪০ বস্তা (৮০ মন) আলু উৎপাদন হয়েছে। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকার উপরে। আর ২০ বস্তা আলু বিক্রি হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে বিঘা প্রতি ৮-১০ হাজার টাকা লাভ হতে পারে।”
দেশের বৃহত্তম কাঁচাবাজার চান্দিনার নিমসার বাজারের মধ্যস্বত্বভোগী আলু ব্যবসায়ী শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা কৃষকের জমি থেকে আলু কিনি। এরপর সেগুলো পরিষ্কার করে বাজারে নিয়ে বিক্রয় করি। সেই আলু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যায়। আলু বিক্রিতে আমাদের ভালোই লাভ হয়।”
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে চার লক্ষাধিক চারার নার্সারি: জেসমিন আরা এখন অনেকের আইডল
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, “কুমিল্লার সবক’টি উপজেলার মাটি আলু চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এবারে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি আলু উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমাদের কর্মকর্তাসহ মাঠকর্মীরা সার, কীটনাশক প্রয়োগের ব্যাপারে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন। যা এবারের বাম্পার ফলনেই এ চিত্র ফুটে উঠেছে।”
তিনি আরো বলেন, “কুমিল্লার অনেক কৃষক পুরনো জাতের ডায়মন্ড আলু চাষ করে থাকেন। যদিও ডায়মন্ড আলুর উৎপাদন তুলনামূলক কম হয়। আমরা তাদেরকে ভালো জাতের আলু চাষ করার পরামর্শ দিয়ে থাকি।”
এসি/ আই.কে.জে/