ছবি : সংগৃহীত
বাঙালির রান্নায় হলুদ ছাড়া তরকারি ভাবাই যায় না। খাবারে রঙ আর ঘ্রাণ আনতে এটি ব্যবহার করা হয়। হলুদে রয়েছে কারকিউমিন নামক উপাদান যা অনেক রোগ সামলাতে সক্ষম। কেবল রান্না নয়, এই উপাদানটি আরও অনেক কাজেও ব্যবহার হয়। সেগুলো কী? চলুন জেনে নিই-
ত্বকের যত্ন
বিয়ের আগে বর আর কনের গায়ে কাঁচা হলুদ মাখানোর রেওয়াজ বহু পুরনো। ত্বকের জেল্লা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে হলুদ। নানাভাবে এটি ত্বক পরিচর্যার কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
১ চামচ বেসন, ২ চামচ দুধ ও ১ চিমটে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে মেখে নিন। ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে ত্বকের ময়লা।
শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করতে ওটমিলের সঙ্গে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে মাখতে পারেন। এতে মৃত কোষ দূর হয় সহজে।
আরো পড়ুন : রোদ যেভাবে ত্বকের উপকার করে
স্বাস্থ্যকর পানীয়
হলুদে থাকা কারকিউমিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে আছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। শরীর ভালো রাখতে তাই খেতে পারেন হলুদ চা।
গরম পানিতে ১ চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এই পানীয় সারা দিন ধরেই খেতে পারেন। চাইলে সঙ্গে মেশাতে পারেন মধু কিংবা পাতিলেবুর রস। গায়ে ব্যথা থাকলে, অনিদ্রার সমস্যা হলে দুধের মধ্যে এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো দিয়ে খেলেও উপকার মেলে।
আনাজ পরিষ্কার
বাজার থেকে সদ্য কিনে আনা সবজিতে অনেক পোকামাকড় এবং রোগজীবাণু থাকে। হলুদ রোগজীবাণু প্রতিরোধে, পোকামাকড় দূর করতে সহায়ক। ২-৩ গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানিতে এক চা-চামচ হলুদ মিশিয়ে নিন। তাতে সবজিগুলো বেশ কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। জীবাণুমুক্ত হবে।
এস/ আই.কে.জে/