ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মুখ খুলেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। দপ্তরটি বলছে, জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের প্রতি আমেরিকার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
বুধবার (২৬শে জুন) পেন্টাগনের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পেন্টাগনের অভিমত ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তরের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার।
আরো পড়ুন: সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে সংসদে কঠোর সমালোচনা
ব্রিফিংয়ে প্যাট রাইডার বলেন, স্টেট ডিপার্টমেন্ট জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর দুর্নীতির অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এটি গত মে মাসে করা হয়েছিল। মূলত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং আইনের শাসনকে মজবুত করার লক্ষ্যে আমেরিকা তার প্রতিশ্রুতিকে নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী যেকোনো কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে পেন্টাগন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার ঘনিষ্ঠ দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। দুদেশের একই স্বার্থ ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে অংশীদারত্ব বজায় রয়েছে। বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, সমুদ্রসীমা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোতে আমরা একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় রাখি।
উল্লেখ্য, গত ২০শে মে এক বিবৃতিতে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, বড় ধরনের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কারণে আজিজ আহমেদকে পররাষ্ট্র দপ্তরের ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। এর ফলে আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা আমেরিকায় প্রবেশের জন্য অযোগ্য হবেন।
বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছিল, আজিজ আহমেদের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ন করতে ভূমিকা রেখেছে।
এইচআ/ আই.কে.জে/