সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৯ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘরের কাজ থেকে মুক্ত থাকার দিন আজ!

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৩৩ অপরাহ্ন, ৭ই এপ্রিল ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

চাকরিজীবিরা সারা দিন অফিসে কাজ করার পর সন্ধ্যায় ঘরে ফেরার সময় তীব্র যানজট পেরিয়ে, ট্রাফিকের লাল আলোর সামনে সময় খোয়ালেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তারপর এক সময় বাড়ি ফিরে ক্লান্ত–ধ্বস্ত হয়ে ঘরের দরজা খুলে দেখলেন, ঘরের মেঝেতে ধুলো জমে আছে। কাপড়-চোপড় ছড়িয়ে আছে এখানে সেখানে। রান্নাঘর ভর্তি নোংরা বাসনকোসন। এসব গৃহস্থালি কাজ এখন আবার করতে হবে! ভাবা যায়?

তারপরও নিত্যদিন ঘরের কাজ করতে হয় আমাদের। বিশেষত যাদের বাড়িতে কাজের বুয়া নেই। আমাদের দেশে তবু এখনো ঘরের কাজ করানোর জন্য ‘কাজের লোক’ পাওয়া যায়। কিন্তু উন্নত দেশগুলোতে নিজের কাজ নিজেকেই করতে হয়।

ফলে প্রতিদিন অফিস কিংবা ব্যবসার কাজ সেরে ঘরে ফিরে আবার গৃহস্থালির কাজ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে ওঠে শরীর। মনে হয়, একটা দিন যদি ঘরের কাজ থেকে ছুটি পাওয়া যেত!

আরো পড়ুন : উচ্চশিক্ষার বিষয় বেছে নেব কীভাবে?

গৃহকর্ম সত্যিই খুব পরিশ্রমের ব্যাপার। বিরল প্রজাতির কেউ কেউ অবশ্য আছেন, তারা সব সময় ঘরের কাজ করতে পছন্দ করেন। কিন্তু তাদের সংখ্যা খুবই অল্প। বেশির ভাগ মানুষই ঘরের কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে ওঠেন, একঘেয়েমিতে ভোগেন। উপরন্তু এ কাজের নেই কোনো স্বীকৃতি। আমাদের মা–বোন–স্ত্রীরা সারাজীবন ঘরের কাজ করে গেছেন, কিন্তু কখনো এ কাজের স্বীকৃতি পাননি। কখনো দুবাক্য প্রশংসা জোটেনি তাদের কপালে।

আধুনিক এই সময়ে ঘর–গৃহস্থালির কাজ সহজ করার জন্য অনেক যন্ত্রপাতির উদ্ভব হয়েছে অবশ্য। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, ওয়াশিং মেশিন, থালা–বাসন পরিষ্কার করার জন্য নানা ধরনের ডিরাটজেন্ট ইত্যাদি পাওয়া যায়। কিন্তু তারপরও, কাজগুলো তো করতে হয়!

একবার কল্পনা করে দেখুন, ৩০–৪০ বছর আগের কথা। কার্পেটের ধুলো পরিষ্কার করার জন্য রোদের নিচে ঝুলিয়ে দিয়ে লাঠি দিয়ে পেটাতে হতো। ঘর পরিষ্কার করার জন্য ভালো ঝাড়ুও ছিল না। কাপড় কাচার জন্য ছিল না ওয়াশিং মেশিন।

প্রতিদিন একগাদা কাপড় কেচে, থালাবাসন পরিষ্কার করে আর ঘরদোর ঝাড়ু দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে যেত মানুষ। প্রাণপনে চাইতো, একটা দিন অন্তত ঘরের কাজ থেকে ছুটি দরকার।

সেই ভাবনা থেকেই একদিন ঘরের কাজকে ছুটি দেওয়ার কথা চিন্তা করেন মার্কিনীরা। আজ ৭ই এপ্রিল, ‘ঘরের কাজ না করা’ দিবস।

কবে, কীভাবে এ দিবস শুরু হয়, তার সঠিক ইতিহাস জানা যায় না। তবে যখনই শুরু হোক না কেন, দিবসটি যে মানুষকে স্বস্তি দিয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই।

তথ্যসূত্র: ডেজ অব দ্য ইয়ার

এস/ আই.কে.জে/ 


দিবস মার্কিনীরা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন