ছবি: সংগৃহীত
আজ ২৭শে মার্চ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। রাসুলের (সা.) আদর্শ ও যাপন পদ্ধতি গভীরভাবে পর্যালোচনা করলে বিষয়টি ফুটে উঠে যে, তিনি অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে শবে কদরের অনুসন্ধান করতেন, সারারাত জেগে কাটাতেন। অন্য যে কোনো রাতের তুলনায় বেশি ফজিলতের হওয়ার কারণে রাসুল (সা.) শবে কদরকে এতটা গুরুত্ব দিয়েছেন।
তিনি কদর অনুসন্ধান করার জন্য সাহাবিদের উৎসাহ দিতেন। যেমন তিনি বলেছেন, ‘রমজানের শেষ দশদিনে তোমরা শবে কদর অনুসন্ধান করো’ (বুখারি, হাদিস: ২,০২০)।
তিনি আবার বলেছেন, ‘রমজানের শেষ দশদিনের বেজোড় সংখ্যক রাতে তোমরা শবে করের খোঁজ করো’ (বুখারি, হাদিস: ২,০১৭)। এ রাত মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি রাত।
তবে যারা দুর্বল ও অসুস্থ, রাসুল (সা.) তাদের ক্ষেত্রে কেবল শেষ সাত রাত্রিতে অনুসন্ধানের আদেশ দিয়ে বলেছেন, ‘যদি তোমাদের কেউ দুর্বল হয়, কিংবা অক্ষম হয়ে পড়ে, তবে শেষ সাতে যেন পরাভূত হয়ে না পড়ে’ (মুসলিম, হাদিস: ২,৮২২)।
সাহাবিদের জীবনাচার পুঙ্খানুপুঙ্খ দৃষ্টিতে বিচার করলে দেখা যাবে, রাসুল (সা.) তাদেরকে যার মাধ্যমে শবে কদরের ব্যাপারে সর্বাধিক উৎসাহিত ও উদ্দীপিত করেছেন, তা হলো- কর্মের মাধ্যমে মূর্ত আদর্শ সবার সামনে তুলে ধরা। রাসুল (সা.) যে রাতকে ভাবতেন শবে কদর হিসেবে, সে রাতের ইবাদতে তিনি কঠিন পরিশ্রম করতেন। সাহাবিরা সরাসরি রাসুলের (সা.) সংস্পর্শে সে রাত যাপন করতে উৎসাহিত হতেন। সুতরাং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার কর্তব্য কদরের রাত্রি অনুসন্ধান করা এবং রাত জেগে এবাদত-বন্দেগি করা।
এ রাতে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুসারীদের সম্মান বৃদ্ধি করা হয় এবং মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তাই মুসলমানদের কাছে এ রাত অতীব পুণ্যময় ও মহিমান্বিত। সব সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে শবে কদরের রাতে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন মহানবী মুহাম্মদ (সা.)।
আরএইচ/এইচ.এস
খবরটি শেয়ার করুন