ছবি: সংগৃহীত
নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তানে সরকার গঠনে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। ভুট্টোর পিপিপি বলছে, তারা শরিফের পিএমএল-এনকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে সহায়তা করবে। এর আগে ২০২২ সালে দুই দল একটি জোট গঠন করেছিল, যেটি ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতে ভূমিকা রেখেছিল।
এবার ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অপ্রত্যাশিতভাবে বেশিরভাগ আসনে জয় পেয়েছেন।
পিপিপি নেতা আসিফ আলি জারদারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার দল ও পিএমএল-এন একে অন্যের বিরুদ্ধে ভোটে লড়েছিল। তবে তারা জাতির স্বার্থে এক হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে চিরকাল লড়াই চলবে, এমনটি আবশ্যক নয়। পিএমএল-এন এক বিবৃতিতে বলেছে, উভয় পক্ষ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে।
২৬৬টি আসনে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা ৯৩টি আসন পেয়েছেন। শরিফের পিএমএল-এন ৭৫টি আসনে জিতেছে এবং পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন।
আরো পড়ুন: কাঁদানে গ্যাস-জল কামান উপেক্ষা করে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে ভারতের কৃষকরা
পিএমএল-এন নেত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব বলেন, তার দলের নেতা নওয়াজ শরিফের পরিকল্পনা, তার ভাই শেহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করা। তারা দুই ভাই-ই এর আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্যদিকে ভুট্টো বলছেন, তার দল পিএমএল-এনকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে সহযোগিতা করবে। এর আগে তিনি বলেছিলেন, তার দল মন্ত্রিসভার কোনো পদ নেবে না।
ইমরান খান এবং তার দলের নেতারা বারবার বলছেন, তারা বিশ্বাস করেন, নির্বাচনে তাদের বিরুদ্ধে কারচুপি হয়েছে। নির্বাচনের ফল চ্যালেঞ্জ করার পরিকল্পনা তাদের রয়েছে।
ইমরান বলেন, কারচুপির ভোটে সরকার গঠনের দুঃসাহসিকতার বিরুদ্ধে আমি সতর্ক করছি। এ ধরনের দিনে-দুপুরে ডাকাতি শুধু নাগরিকদের অসম্মানই করবে না বরং দেশের অর্থনীতিকে আরো নিম্নমুখী জটিল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেবে।
সূত্র: বিবিসি
এইচআ/ আই. কে. জে/
খবরটি শেয়ার করুন