সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাত খেলে কি গ্যাস্ট্রিক কমে?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:০৪ অপরাহ্ন, ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে অনেকেই ভরসা রাখেন ভাতে। তাদের মতে, ভাত খেলে অ্যাসিডিটি থেকে দূরে থাকা যাবে। আদৌ কি এই ধারণা সত্য? চলুন জেনে নিই বিস্তারিত- 

পুষ্টির ভাণ্ডার ভাত

কার্বহাইড্রেট সমৃদ্ধ একটি উপকারি খাবার ভাত। নিয়মিত ভাত খেলে যে দেহের এনার্জির ঘাটতি মিটবে সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। ভাতে আছে ভিটামিন বি, ফোলিক অ্যাসিড, সেলেনিয়াম, ফাইবার, আয়রন, পটাশিয়াম ও জিঙ্কের মতো উপকারি সব উপাদান। দেহে পুষ্টির ঘাটতি মিটিয়ে ফেলতে চাইলেও নিয়মিত ভাত খেতে হবে। 

ভাত খেলে কি গ্যাস-অ্যাসিডিটি কমে? 

পুষ্টিবিদদের মতে, ভাত অত্যন্ত সহজপাচ্য একটি খাবার। এটি খেলে পাকস্থলীর পিএইচ ব্যালেন্সের সমতাও দ্রুত ফিরে আসে। অর্থাৎ, ভাত খেলে যে গ্যাস, অ্যাসিডিটিতে উপকার পাবেন তা বলাই বাহুল্য। এমনকী নিয়মিত ভাত খেলে গ্যাসের আশঙ্কাও কমে। আপনি যদি অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন, তাহলে খাদ্যতালিকায় ভাত রাখুন। 

আরো পড়ুন : নিয়মিত জিহ্বা পরিষ্কার করা কেন জরুরি

গ্লুটেন ফ্রি খাবার

অনেকেই রুটি খেতে পারেন না। কারণ রুটিতে গ্লুটেন নামক উপাদান রয়েছে। আর এই গ্লুটেনই গ্যাস, অ্যাসিডিটি থেকে শুরু করে বমি বমি ভাব, ডায়ারিয়াসহ একাধিক রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ায়। এজন্য এমন রোগীদের রুটি খেতে বারণ করা হয়। এক্ষেত্রে ভাত খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। কারণ ভাতে বিন্দুমাত্র গ্লুটেন থাকে না। তাই ডায়েটে বদল আনুন। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগলে রুটি না খেয়ে ভাত খান। 

খেতে হবে সময় বুঝে 

বাঙালি মাত্রই ভাত পাগল। কিন্তু অনেকেই ৩ বেলা ভাত খান। এই ভুলেই কার্ব ওভারলোড হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যা ওজন বাড়াতে পারে। এজন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে ৩ বেলা ভাত খাওয়া চলবে না। তারচেয়ে বরং সারাদিনে ১ থেকে ২ বার অল্প পরিমাণে ভাত খান। এই নিয়ম মানলেই ওবিসিটি থেকে বাঁচতে পারবেন। 

ডায়াবেটিস থাকলেও ভাত খাওয়া যাবে

ডায়াবেটিস রোগীরা মনে করেন, ভাত খেলেই হয়তো সুগার বাড়বে। তবে বিষয়টি একদমই তেমন নয়। তবে নজর দিতে হবে পরিমাণে। প্রয়োজনে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তাহলে অনায়াসে ব্লাড সুগার কন্ট্রোলে রাখতে পারবেন। 

এস/এসি

ভাত গ্যাস্ট্রিক

খবরটি শেয়ার করুন