বৃহস্পতিবার, ২৪শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৯ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ক্রিকেটে রাজনীতি চায় না এসিসি, এশিয়া কাপের ঘোষণা দেবে ভারত *** মাইলস্টোনে দগ্ধদের চিকিৎসায় চীনের চিকিৎসক দল আসছে রাতে *** মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: ডিএনএ পরীক্ষায় ৫ জনের পরিচয় শনাক্ত *** ১৫ শতাংশের নিচে নামবে না শুল্ক, ঘোষণা ট্রাম্পের *** সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় বিএনপি *** আরও মামলায় গ্রেপ্তার ইনু-পলক-মমতাজ *** সমালোচনার মুখে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ড্রেস কোড’ প্রত্যাহার *** সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নতুন বেতনকাঠামো আসছে, পে কমিশন গঠন *** স্থানীয় সরকার নির্বাচনে থাকছে না দলীয় প্রতীক: উপদেষ্টা আসিফ *** গ্রেপ্তারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিবারকে জানাতে হবে

পলকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৫১ অপরাহ্ন, ২২শে আগস্ট ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ এর ২৫ ও ২৭ ধারায় মামলাটি করা হয়। বৃহস্পতিবার (২২শে আগস্ট) সকালে এ তথ্য জানা গেছে।

এজাহারে বলা হয়, সাম্প্রতিক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন একাধিকবার দেশব্যাপী মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউন হয়। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয় এবং বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়।

দেশে ১৭ই জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ই জুলাই রাত নয়টার দিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। এতে টানা পাঁচ দিন সব ধরনের ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ছিল ১০ দিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটস অ্যাপ ও ইন্টারনেট ভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যমের সেবা বন্ধ ছিল ১৩ দিন।

যেহেতু সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার বিষয়ে গত ১৮ই জুলাই আসামি বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানান যে, পরিস্থিতির প্রয়োজনীয়তায় ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে। ২৪শে জুলাই আসামি বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানান, অগ্নিকাণ্ডে ডাটা সেন্টার ও ইন্টারনেট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। গত ২৭শে জুলাই আসামি বিভিন্ন গণমাধ্যমে পুনরায় জানান যে, সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করেনি, ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেছে।

শুক্রবার (২রা আগস্ট) আসামি কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার বন্ধে ব্যর্থতা এবং ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার দায়ভার নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান। ৫ই জুলাই আসামির নির্দেশ অনুযায়ী সারা দেশে পুনরায় কিছু সময়ের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

১৩ই আগস্ট মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউনের কারণ এবং সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বর্তমান উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের নির্দেশে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত কমিটি যে প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করে তা অনুযায়ী, ‘বিগত ১৫-১৬ই জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট এবং গত ১৮ই জুলাই থেকে ২৩শে জুলাই পর্যন্ত এবং ৫ই আগস্ট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রশাসনিক অনুমোদন ব্যতিরেকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মৌখিক নির্দেশে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন’ (বিটিআরসি) এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়।

অপরদিকে, গত ১৭ই জুলাই থেকে ২৮শে জুলাই পর্যন্ত এবং ৫ই আগস্ট মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার’ (এনটিএমসি) এর নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়।

উল্লেখ্য, প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায় যে, বর্ণিত সময়ে ডাটা সেন্টারে আগুন লাগার সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো সম্পর্ক ছিল না। ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে ডাটা সেন্টারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সম্পৃক্ত করে প্রচারণার মাধ্যমে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাতির সঙ্গে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেছেন।

আরো পড়ুন: সরকারি-বেসরকারি সব বোট বন্যাদুর্গত এলাকায় নিয়োজিত করুন : নাহিদ

আসামি সাবেক সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রী হয়েও বিভিন্ন ডিজিটাল ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে ইন্টারনেট বন্ধ সংক্রান্ত মিথ্যা, বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালান যার ফলশ্রুতিতে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুন্ন হয়। আসামি ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণের মধ্যে ভয়ভীতি সঞ্চার করার জন্য তাদের ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে বৈধ প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। যার ফলে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিপন্ন হয়। ইচ্ছাকৃতভাবে জনসাধারণের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ ও সেবা ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংসসাধন করেন।

গত ১৭ই জুলাই থেকে ২৮শে জুলাই পর্যন্ত এবং সর্বশেষ গত ৫ই আগস্ট সকাল আনুমানিক ৯টা থেকে দুপুর আনুমানিক ১টা পর্যন্ত আসামি বিভিন্ন ডিজিটাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ও অপপ্রচার করে জনমনে ভয়ভীতি সঞ্চার করে বৈধ ইন্টারনেট প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে দেশের মানুষের সঙ্গে মিথ্যাচার করে এবং দেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুন্ন করায় এই মামলা করা হয়েছে।

এসি/ আই.কে.জে/


পলক সাইবার ট্রাইব্যুনাল

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন