ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির মামলায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত। এর ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালত আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে সোমবার (১২ই ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চার্জগঠনের আদেশ দেন। এ সময় ডা. সাবরিনা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চান।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. ওসমান গনি এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
২০২০ সালের ৩০শে আগস্ট ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া। মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে নির্বাচন কমিশনের কাছে তথ্য চেয়েছে।
সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২রা ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২রা ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।
আরও পড়ুন: শিশু লামিয়া হত্যায় ৩ দিনের রিমান্ডে মা
এই মামলায় ২০২০ সালের ২২শে নভেম্বর জামিন পান সাবরিনা।
এরপর ২০২২ সালের ১৯শে জুলাই করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৮ আসামিকে পৃথক তিন ধারায় ১১ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে এখন কারামুক্ত সাবরিনা।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন