প্রতীকী ছবি
ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার, ল্যাপটপ ও টিভি কিনতে ১৩৩ টন মুরগির মাংস চুরি করেছে একদল চোর। গত শুক্রবার এমন চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনা ঘটেছে অর্থনৈতিকভাবে নড়বড়ে দেশ কিউবাতে। এ ঘটনায় ৩০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
কিউবার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা জানায়, চোরেরা ১ হাজার ৬৬০টি সাদা বাক্স দিয়ে মাংসগুলো নিয়ে যায়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মুরগির মাংস বিক্রির টাকা দিয়ে রেফ্রিজারেটর,এয়ার কন্ডিশনার, ল্যাপটপ ও টিভি কেনা। ফিদেল কাস্ত্রোর বিপ্লবের পর ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে কমিউনিস্ট শাসন চলছে কিউবাতে।
সরকারি বরাদ্দের অংশ হিসেবে মুরগির মাংসগুলো নাগরিকদের বিতরণের উদ্দেশ্যে ছিল। কিউবার সরকারি খাবার বিতরণ সংস্থা সিওপিএমএআরের পরিচালক রিগোবেরতো মুস্টেলিয়ের জানান, যে পরিমাণ মাংস চুরি হয়েছে তা দিয়ে একটি মাঝারি আকারের প্রদেশ এক মাস চলতে পারত।
আরো পড়ুন : জলপাইয়ের গন্ধ স্বামীর অপছন্দ, অত:পর!
কিউবায় অর্থনৈতিক সংকট থাকায় এমন সরকারি বরাদ্দের পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। বর্তমানে কিউবাতে সরকারি বরাদ্দ পেতে জনগণকে সপ্তাহ বা কয়েক মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
কিউবায় যারা এক মাসে ১৪ ডলারের বেশি বেতন পান তাদের খরচ মেটানোর জন্য বিকল্প উপায় খুঁজতে বাধ্য করা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ মুরগি চুরির নির্দিষ্ট কোনো সময় উল্লেখ করেনি। তারা ইঙ্গিত দিয়েছে যে, এটি সম্ভবত মধ্যরাত থেকে রাত ২টার মধ্যে ঘটেছে।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। করোনা মহামারির পর অর্থনৈতিক সংকট বেড়ে যাওয়ায় কিউবাতে চুরির মতো অপরাধ বেড়ে গেছে।
সূত্র : রয়টার্স
এস/ আই.কে.জে/