ছবি : সংগৃহীত
বর্তমানে বাচ্চাদের চোখ আটকে থাকে টিভি, মোবাইল, আইপ্যাড, ল্যাপটপে। এতে করে বই পড়ার আগ্রহ দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাই এই সময় আপনার সন্তানকে বই পড়ার আগ্রহ ফিরিয়ে আনার সহজ মাধ্যমগুলো আপনারই বের করতে হবে। ছোটরা যাতে বই থেকে একেবারে মুখ না ফেরায়, তার জন্য চেষ্টা করতে হবে অভিভাবকদেরই। চলুন জানা যাক, মোবাইল থেকে চোখ সরিয়ে সন্তানকে বই পড়ার আগ্রহ বাড়ানোর সহজ কিছু কৌশল-
‘স্ক্রিনটাইম’ বেঁধে দিন
বই পড়ানোর আগে স্ক্রিনটাইম বেঁধে দিতে হবে। তবে গোড়াতেই মোবাইল নিয়ে নিলে শিশু আরও বেশি জেদ করবে। তাই দিনের কিছুটা সময় বেঁধে দিন। যেমন:- সারা দিনে এক ঘণ্টার মতো সময় টিভি দেখা বা মোবাইলে গেম খেলার জন্য দিতে পারেন। তার বেশি নয়। আর মোবাইলে শিশু কী ধরনের গেম খেলছে বা ভিডিও দেখছে তাতেও নজর রাখতে হবে। বাকি সময়টা পড়ার বইয়ের বাইরে বিভিন্ন গল্পের বই পড়ানোর অভ্যাস করুন।
গল্প বলুন
এখনকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে গল্প শোনার ধৈর্য কম। অভিভাবকেরাও সেভাবে সময় দিতে পারেন না। কিন্তু যদি শিশুর মধ্যে পড়ার আগ্রহ তৈরি করতে হয়, তাহলে ছোট থেকেই গল্প শোনার অভ্যাস তৈরি করুন। খাওয়ানোর সময়ে হাতে মোবাইল দেবেন না, গল্প বলুন। নানা রকম গল্প শোনার অভ্যাস তৈরি হলে শিশুর পড়ার আগ্রহও তৈরি হবে।
আরো পড়ুন : ফেলে না দিয়ে কেন খাবেন মুলার শাক?
বাবা-মাকেও পড়তে হবে
শিশু যদি দেখে বাবা বা মা মোবাইলে স্ক্রল না করে সময় পেলেই বই, ম্যাগাজ়িন, খবরের কাগজের পাতা উল্টোচ্ছেন, তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই ওর মধ্যেও পড়ার ঝোঁক বাড়বে। কারণ ছোটরা বড়দেরই অনুকরণ করার চেষ্টা করে। তাই আগে মা বা বাবাকে নিয়মিত পড়ার অভ্যেস তৈরি করতে হবে। বাড়িতেও তেমন পরিবেশ যেন থাকে। তাহলেই খুদের মধ্যে সেটা বুনে দেওয়া সহজ হবে।
লাইব্রেরির সঙ্গে পরিচয়
ছুটির দিনে খুদেকে নিয়ে শপিং মল বা রেস্তরাঁয় যাচ্ছেন ঠিক আছে, তবে সময় করে লাইব্রেরিতেও নিয়ে যান। কাছেপিঠে লাইব্রেরি না থাকলে, বইয়ের দোকানেও নিয়ে যেতে পারেন। নিজে হাতে করে বই নেড়েচেড়ে দেখলে, সেখানেই বসে কিছুটা পড়তে পারলে বই পড়ার নেশা আপনা থেকেই তৈরি হবে।
বেছে বই কিনুন
ঠিক বয়সে ঠিক বই বেছে না দিলে পড়ার অভ্যেস তৈরি তো হবেই না, বরং বিরক্তি আসতে পারে। কেবল রূপকথা বা ছবি দেওয়া বই নয়, বরং ছোট থেকেই বাস্তব জগতের সঙ্গে একটু একটু করে পরিচয় করান। গদ্য, পদ্য, ছোটদের গল্পসমগ্রের মতো বিভিন্ন সাহিত্যিকের বই একটু একটু করে পড়ানোর অভ্যাস তৈরি করুন। গোড়ার দিকে, নিজেকেও ওর সঙ্গে পড়তে হবে। যে বয়সটায় খুদে নিজে পড়তে পারবে না, তখন মা-বাবাকেই গল্পগুলো পড়ে শোনাতে হবে। রিডিং পড়া নয়, এতে থাকবে অনেকখানি অভিনয়। গল্পের চরিত্রগুলি বাস্তবসম্মত ভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। তবেই গল্প শোনার ও নিজে পড়ার আগ্রহ তৈরি হবে।
এস/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন