শুক্রবার, ১৭ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ছেঁউড়িয়ায় লালন স্মরণোৎসব শুরু হচ্ছে আজ *** জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অপেক্ষা *** ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তরের মানুষ... *** সব গণমাধ্যমকে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার *** ‘লং মার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি দিলেন শিক্ষকরা *** জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুক্রবারই, বাদ পড়লে পরেও স্বাক্ষর করা যাবে: আলী রীয়াজ *** সাবেক বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা *** সাত কলেজ নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপ গুজব ছড়াচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা *** এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা *** আগামীকাল স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে ‘জাতীয় জুলাই সনদ, ২০২৫’

পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৭:১৭ অপরাহ্ন, ৪ঠা অক্টোবর ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

আজ পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম। ইসলামের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় ধর্মপ্রচারক ও দক্ষিণ এশিয়ায় সুফিবাদ প্রতিষ্ঠাকারী বড়পীর আব্দুল কাদির জিলানী (রহ.)-এর মৃত্যুর দিনটিকে স্মরণে প্রতিবছর আরবি রবিউস সানি মাসের একাদশ তারিখে দিনটি পালিত হয়।

‘ফাতেহা’ বলতে প্রার্থনা বা প্রার্থনার অনুষ্ঠানকে বোঝায়।  ফারসি শব্দ ‘ইয়াজদাহম’-এর অর্থ এগারো। ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ শব্দটির অর্থ দাঁড়ায়—একাদশ তারিখের প্রার্থনা, অর্থাৎ যেদিন আব্দুল কাদির জিলানী (রহ.) ইন্তেকাল করেছিলেন, সেই দিনের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ।

বিশ্বব্যাপী সুফিবাদের অনুসারীদের কাছে দিনটি উর্দু ভাষায় ‘গেয়ারভি শরিফ’ নামেও পরিচিত। ওফাত বা ইহলৌকিক জীবনের অবসানের মাধ্যমে আব্দুল কাদির জিলানী (রহ.)-এর মহান আল্লাহপাকের চিরসান্নিধ্য লাভের বার্ষিকী হিসেবে এদিনে বিশেষ প্রার্থনা, কুরআন তেলাওয়াত এবং দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়। এর মাধ্যমে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সূফিসাধক ও মুসলিম ধর্মের অনুসারীরা।

আব্দুল কাদির জিলানী (রহ.) শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং শ্রদ্ধেয় ইসলামী পণ্ডিত হিসেবে পরিচিত। তিনি ছিলেন একজন ফারসি ভাষাভাষী হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী, সুন্নি শেখ এবং কাদিরি সুফি তরিকার প্রতিষ্ঠাতা।

তিনি ৪৭০ হিজরি (১০৭৭ খ্রিস্টাব্দ) সনের রমজান মাসে পারস্যের গিলান জেলার নায়েফে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আবু সালেহ, যিনি আলী (রা.)-এর জ্যেষ্ঠ পুত্র ইমাম হাসান (রা.)-এর সরাসরি বংশধর এবং সাইয়্যিদা ফাতিমা (রা.)-এর বংশধর। তার মা-ও ছিলেন একজন সাধিকা, সাইয়্যিদ আবদুল্লাহ সাওমাইয়ের কন্যা, যিনি আলী (রা.)-এর কনিষ্ঠ পুত্র ইমাম হুসাইন (রা.)-এর সরাসরি বংশধর।

শেখ আব্দুল কাদির জ্ঞান অর্জনের জন্য আঠারো বছর বয়সে নিজ বাড়ি ছেড়ে বাগদাদে চলে যান এবং জ্ঞানের মহান কেন্দ্রে অধ্যয়ন করেন। তিনি ৫৬১ হিজরির ১১ই রবিউস সানিতে নিরানব্বই বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন এবং বাগদাদে তার মাদ্রাসার অভ্যন্তরে একটি মাজারে সমাহিত হন।

ইসলাম ছাড়াও তিনি সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শনসহ বহু বিষয়ে পণ্ডিত ছিলেন। তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: গুনিয়াতুত তালেবিন (অন্বেষকদের সম্পদ), ক্বসীদায়ে গাউসিয়া, খামসাতা আশারা মাকতুবান (চিঠি সংকলন), আল-ফাতহ আর-রব্বানী (মহিমান্বিত প্রতিভাস), ফতহুল গায়েব (মূল্যবান বাণী) এবং কিবরিয়াত এ আহমার (জান্নাত-জাহান্নামের সংক্ষিপ্ত বিবরণী)।

আজ দেশের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা বিভিন্ন ফাতেহা পাঠ ও দোয়ার মাধ্যমে এই মহান ইসলাম প্রচারককে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবেন। প্রতিবছরের মতো এবারও দিনটিকে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালনের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন নানা আয়োজন করেছে।

উল্লেখ্য, এ বছরের ২৩শে সেপ্টেম্বর জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভায় আজ (শনিবার) পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম পালিত হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250