ছবি: সংগৃহীত
একটি দেশের ওপর অপর দেশের গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এই কাজে সাধারণত ব্যবহার করা হয় ড্রোন, এজেন্ট বা অন্য কোনো উন্নত প্রযুক্তির ডিভাইস! তবে গোয়েন্দা কাজে কবুতরের ব্যবহারের কথা খুব বেশি শোনা যায় না।
কিন্তু ভারতের মুম্বাইয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক কবুতরের সাজা হয়েছে আট মাস। তারপর মুক্তি মেলে গোয়েন্দা কবুতরের। জানা যায়, গত বছরের মে মাসে কবুতরটিকে আটক হয়। ওই সময়ে কবুতরের ডানায় একটি ম্যাসেজ লেখা ছিল। আর তা থেকে সন্দেহের বশেই এটিকে আটক করা হয়।
আরো পড়ুন: পুকুরের পানি হঠাৎ হলো গোলাপি!
কবুতরটিকে চীনের গুপ্তচর হিসেবে সন্দেহ করা হয়। বন্দি করার পর কবুতরটিকে হাসপাতালে রাখা হয়। পরে প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্টস অব অ্যানিমেলস (পেটা) এটিকে মুক্ত করতে পদক্ষেপ নেয়। শেষ পর্যন্ত আট মাস পর এটিকে মুক্তি দেওয়া হয়।
সংগঠনটি জানিয়েছে, গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে কবুতরটিকে আটক করা হয়েছিল। এরপর মুম্বাই পুলিশ তদন্তের অংশ হিসেবে এটিকে বিএসডিপিএইচএতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিল। বিষয়টি জানার পর পাখিটিকে মুক্ত করতে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে পেটা। এরপর গত ৩রা ফেব্রুয়ারি পাখিটিকে মুক্ত করে দেন বিএসডিপিএইচএর চিফ মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. বি বি কুলকার্নি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে গায়ে বন্ধনী ও ক্যামেরা আটকানো একটি বেলুগা তিমি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করে। রুশ সামরিক বাহিনী এ তিমিকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করেন বিশেষজ্ঞরা। পরে এটিকে ভালদিমির নামে নামকরণ করা হয়। এরপর এটিকে ২০২৩ সালে আবার সুইডেনে দেখা যায়।