শুক্রবার, ১৭ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** রাকসুতে ২৩ পদের মধ্যে ২০টিতেই শিবিরের জয় *** দুই দাবিতে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মঞ্চে অবস্থান ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ *** রাকসুতে ভিপি-এজিএসে শিবির, জিএস আধিপত্যবিরোধী ঐক্যের জয় *** রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ছেঁউড়িয়ায় লালন স্মরণোৎসব শুরু হচ্ছে আজ *** জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অপেক্ষা *** ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তরের মানুষ... *** সব গণমাধ্যমকে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার *** ‘লং মার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি দিলেন শিক্ষকরা *** জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুক্রবারই, বাদ পড়লে পরেও স্বাক্ষর করা যাবে: আলী রীয়াজ *** সাবেক বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মৃত্যুর পরেও বিয়ে হয় এই দেশে!

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৫৫ অপরাহ্ন, ২৪শে জুন ২০২৪

#

প্রতীকী ছবি (সংগৃহীত)

‘ঘোস্ট ম্যারেজ’ বা ‘ভূতের বিয়ে’ শুনতে কিছুটা অদ্ভুত মনে হলেও চীনে এমনই এক প্রথা ৩ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রচলিত আছে। চীনাদের বিশ্বাস কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তার সত্তা বা আত্মা পরবর্তী জীবনেও জীবনযাপন করতে থাকে। এই সময়কে তারা বর্তমান জগতের প্রতিফলন বলে মনে করেন। যেখানে অর্থ, বাসস্থান এবং এমনকি বিবাহও বিদ্যমান। আর এই প্রথাটিই ‘ভূতের বিয়ে’ হিসেবে পরিচিত।

সম্প্রতি চীনা গণমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে চীনা লোককাহিনী বিশেষজ্ঞ হুয়াং জিংচুন জানান, উত্তর চীন, শানসি, শানডং ও হেবেই প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় ‘ভূতের বিয়ে’ পালিত হয়ে আসছে প্রায় ৩ হাজার বছর ধরে। এই রীতিতে মৃতকে বিয়ে দেওয়া হয় জীবিত একজনের সঙ্গে। শুধু তা-ই নয়, দু’জন মৃত ব্যক্তির মধ্যেও বিয়ের রীতি রয়েছে সেখানে। 

হুয়াং আরও জানান, এই প্রথায় বিশ্বাসীরা বিশ্বাস করে, কোনো ব্যক্তি যদি তার ইচ্ছা পূরণ না করেই মারা যান, যেমন বিয়ে করা, তারা শান্তিতে বিশ্রাম পাবেন না এবং এ তাড়নায় বারবার ফিরে আসবেন। 

আরো পড়ুন : যেখানে বিয়ের আগে বরকে যৌন সক্ষমতা পরীক্ষা দিতে হয় কনের আত্মীয়াদের কাছে

উত্তর চীনে, শানসি, শানডং এবং হেবেই প্রদেশে এই প্রথাটি সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। এই অঞ্চলে সাধারণত দুই ধরনের ভূতের বিয়ে দেখা যায়। এর মধ্যে প্রথমটি হলো, যে দম্পতিরা বাগদানের আগে বা বাগদানের পরে মারা যান, তাদের বাবা-মা বা পরিবারের স্বজনরা তাদের জন্য একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এমনকি তাদের একসঙ্গে কবরও দেওয়া হয়।

আর অন্যটি এমন মৃত ব্যক্তিদের জন্য, যারা জীবিত অবস্থায় কখনোই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হননি এবং একে অপরকে চেনেনও না। কিন্তু ম্যাচমেকার বা ঘটকের মাধ্যমে মৃত্যুর পর বিয়ে দেওয়া হয় তাদের। মূলত পিতামাতারা তাদের মৃত সন্তানদের জন্য একজন উপযুক্ত সঙ্গী খোঁজেন। এক্ষেত্রে পারিবারিক পটভূমি, পেশা ও বয়স বিবেচনা করা হয়। তারপর একটি বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়, এবং মৃতদেহগুলিকে উত্তোলন করা হয় এবং একটি নতুন কবরে একসঙ্গে সমাহিত করা হয়।

এছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে, একটি ভূত বিবাহের একজন সঙ্গী জীবিত থাকেন। তিনি ভূত বিবাহ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির প্রতিনিধিত্ব করে তার ছবি এবং পোশাক। অনুষ্ঠানটি ঐতিহ্যবাহী বিয়ের রীতিনীতি অনুসরণ করে হয়ে থাকে। 

এস/ আই.কে.জে

ভূতের বিয়ে’

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250